বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিশেষজ্ঞরা যা বললেন

রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন

- অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব বলেছেন, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বন্ধের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসতে হবে। এ ছাড়া কোনোভাবে নিম্নমানের ওষুধ তৈরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। আইন অনুযায়ী ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া থাকলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তারা অনেক ক্ষেত্রে নিতান্তই অসহায়। জীবনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এ ক্ষেত্রগুলোয় জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব, ‘জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে প্রতারণাকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি) অনুসরণ করেই স্ট্যান্ডার্ড ড্রাগ তৈরি করতে হবে। যে কোনো মূল্যে এর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তবে আমাদের এখানে অনেক কোম্পানি আছে যারা অনেক আগে থেকে লাইসেন্স নিয়ে রাখছে। এর মাধ্যমে ক্যাপসুল ও অ্যালেক্সা (লিকুইড ওষুধ) বানাচ্ছে। যদিও তারা জিএমপি অনুসরণ করছে না।’ তিনি বলেন, ‘রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটে কিছুদিন পরপরই আবিষ্কার হয় ভেজাল ও নকল ওষুধ। তাহলে প্রশ্ন হলো, এগুলো তৈরি হলো কোথায়? এ বিষয়টাতে আরও কঠোরতা প্রয়োজন।’ রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘সব ধরনের ওষুধ কোম্পানিকে শর্ত দেওয়া হোক, তাদের জিএমপি অনুসরণ করতে হবে। নইলে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে কেন? কিছুদিন আগেই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ ব ম ফারুক সাহেবের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি টিম দেশব্যাপী কাজ করেছেন। তারা ইন্সপেকশন শেষে গ্রেডিং করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজও হয়েছে। তবে এটা নিয়মিতভাবে হওয়া উচিত।’ সমন্বিত তদারকির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘দেশ তো অগ্রসর হচ্ছে। তাই কটেজ ইন্ডাস্ট্রির মতো ওষুধ কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত তদারকির। এ ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর, দুর্নীতি দমন কমিশন, ইনটেলিজেন্স ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে। সরকারের উচিত হবে তাদের পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে সহায়তা করা।’

সর্বশেষ খবর