ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নেত্রীদের ওপর হামলা বাজে দৃষ্টান্ত ও নিন্দনীয়। এতে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের সংগঠন ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। পদের শক্তি প্রদর্শনের কোনো দরকার ছিল না। এতে শুধু ছাত্রলীগেরই নয়, মূল দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিও ক্ষুণœ হয়েছে। কায়েমি স্বার্থবাদীদের হাত থেকে ছাত্রলীগকে মুক্ত করা দরকার। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের সভাপতির পদে ছিলেন শেখ শহীদুল ইসলাম। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আর বর্তমানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদে আছেন। সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে নিজের মূল্যায়ন ও ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়া বিতর্কিত নেতা-নেত্রীদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের মূল্যায়ন করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন কমিটিতে থাকা কয়েকজন নেতা। হামলার শিকার নেত্রীদের অভিযোগ, এক শীর্ষ নেতার নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাসে নারী নেত্রীদের ওপর হামলা ন্যক্কারজনক। ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকা দেখে প্রশ্ন জাগে, ছাত্রলীগের ওপর অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন কিনা? মনে হচ্ছে, ছাত্রলীগের মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। তিনি বলেন, আগে ছাত্রলীগের পদ না পেলে কেউ পদের জন্য রাতভর রাস্তায় বসে থাকেনি। আবার শীর্ষ নেতারাও কোনো নেত্রীর ওপর হামলা করেনি। আমরা একবার পদ না পেলে পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতাম। তবে সেই সময়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির স্থান ছিল না। আওয়ামী লীগের কিছু নেতার প্রভাব বিস্তারের কারণে এবং সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে দূরদর্শিতার অভাবে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আবার যারা পদের জন্য এসব করছেন, তারাও হয়তো পদ-পদবি ব্যবহার করে রাতারাতি সম্পদশালী হওয়ার চেষ্টা করছেন। না হলে তারা কেন অপেক্ষা করছেন না? সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এ সংগঠনের নেতৃত্বেই ছাত্ররা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ সংগঠনের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। সেই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিতর্কিত কাজ করবে-এটা কাম্য নয়। এ জন্য নিয়মিত সম্মেলন করা দরকার। ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব এলে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতা-কর্মীর কাছে ছাত্রনেতাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে। যারা পদ-পদবিতে আসতে চান তারাও সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগে বিতর্কিত কেউ ঢুকলে বা অনুপ্রবেশ ঘটে থাকলে তাদের সংগঠন থেকে অতি দ্রুত বের করে দেওয়া উচিত।
শিরোনাম
- আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
নিন্দিত ও বাজে দৃষ্টান্ত ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর