সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবহন খাতের কাছে জনস্বার্থ জিম্মি না হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, সড়ক ও পরিবহন আইন মালিক-শ্রমিকের অসন্তোষের কারণে করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী জানান, মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিবাদ বা আন্দোলন বাজে রকমের হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ অনেক অপমানিত হয়েছেন। মন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আন্দোলন রাতারাতি বন্ধ করা যায় না। এ খাতের সঙ্গে আরও অনেক কিছু সংশ্লিষ্ট। শ্রমিকরা ভিন্নমতের ছিল না। তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে যুক্তিতর্ক দিয়ে সমাধান করতে দেরি হয়ে গেছে। এটা হয়েছে তাঁর দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে। এখন এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ আইনের সঙ্গে নতুন কোনো কিছু যোগ করা যায় কিনা, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার ঈদ মৌসুমে সড়কে দুর্ঘটনার চেয়ে বেশি ছিল মৃত্যু হার। দুর্ঘটনা হয় ৬৬টি। মূলত ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। আর এসব দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা সবাই মারা যায়। দূরপাল্লার ড্রাইভিংয়ে ও রাস্তার পাশে যানবাহন রাখায় দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ হয়। মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদে রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিল। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে সন্তোষজনক অবস্থানে যেতে পারিনি। বিআরটিএ এবার ২৫৫টি মামলা করে, এর বিপরীতে ৫ লাখ ২০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়। এ ছাড়া টাঙ্গাইল রুটে যানজট হয়েছে। এর অন্যতম কারণ দূরপাল্লার গাড়ি এবং রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে হোটেলে আহার গ্রহণের প্রবণতা। ইজিবাইক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইজিবাইক-সিএনজি বন্ধ করতে হলে আমাদের বিকল্প পথে যেতে হবে। কারণ যারা এসব বাহন চালান তারা গরিব মানুষ। এ ধরনের গাড়িতে চলাচল করেন তারা বাধ্য হয়েই করেন। কারণ ওইসব জায়গায় যানসংকটের কারণে তাঁরা এটা করেন। সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। তবে হাইওয়েতে ইজিবাইক-সিএনজি চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। মন্ত্রী জানান, সবকিছু বিবেচনা করেই ইজিবাইক বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বেপরোয়া গাড়িচালক ও বেপরোয়া যাত্রীর কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এর প্রতিকারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য বৈঠক করা হবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে কোনো পরিকল্পনা কাজে আসবে না। এ জন্য শুধু পরিকাঠামো পরিবর্তন করলে হবে না। জনগণের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনা চাই। সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। রাজধানীতে রাইড শেয়ারিং বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে উবার, পাঠাও-এর মতো ২০ থেকে ২২টি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি রয়েছে। রাইড শেয়ারিংয়ের কারণে যানসংকট অনেকটা নিরসন হয়েছে। অটোরিকশায় ভাড়া বেশি নেওয়ার বা জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ রকম অভিযোগ রাইড শেয়ারিং নিয়ে হয় না। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী জানান, এক মাসের মধ্যে রাইড শেয়ারিং নীতিমালা করা হবে।
শিরোনাম
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
মালিক শ্রমিক অসন্তোষে আইন করা যাচ্ছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর