বাজেটে ভ্যাট-ট্যাক্সের প্রভাবে হুমকির মুখে নির্মাণশিল্প। আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া ভ্যাট আইনে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে অগ্রিম করের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে শুধু আবাসন খাতেই বিরূপ প্রভাব পড়বে না, ব্যয় বাড়বে সরকারি-বেসরকারি সব নির্মাণ প্রকল্পের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। অগ্রিম কর প্রত্যাহার না করলে সিমেন্টের দাম বাড়বে। এতে সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎ প্রকল্প, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ সব উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাবে। বাড়বে ব্যক্তিগত গৃহনির্মাণ ব্যয়। খরচ বাড়ায় ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে। এতে আবাসন খাতকে চাঙ্গা করতে বাজেটে দেওয়া সব সুবিধাও বিফলে যাবে। সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, এমনিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে দেশে উৎপাদিত সিমেন্টের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তার ওপরে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ, কাঁচামাল আমদানিতে ২০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। সিমেন্ট সরবরাহ পর্যায়ে এমনিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এখন স্থানীয় সরবরাহ পর্যায়ে ৩ শতাংশ উৎসে কর্তনকৃত অগ্রিম আয়কর ধার্য করা হয়েছে। আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে মোট ৮ শতাংশ অগ্রিম করের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করলে সিমেন্ট শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। অগ্রিম করের দায় সমন্বয় করতে ৩২ শতাংশ মুনাফা করতে হবে। এতে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম ৪২ টাকার মতো বেড়ে যাবে, যার নেতিবাচক প্রভাব শুধু সিমেন্ট শিল্পেই নয়, সমগ্র নির্মাণশিল্প ও আবাসন খাতে পড়বে। এ ব্যাপারে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কর্মকর্তারা আবাসন খাতকে সুনজরে দেখেছেন। নানা সুবিধা দিয়েছেন। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে সিমেন্টের দাম বাড়লে এর সরাসরি আঘাতটা নির্মাণশিল্পে পড়বে। আবাসন খাত হুমকির মুখে পড়বে। সরকার এমন কিছু করবে বলে আমি মনে করি না। ৫% অগ্রিম করের প্রস্তাব প্রত্যাহারের চিন্তা করছেন বলে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমার প্রত্যাশা তারা ভালো কিছু করবেন। সিমেন্টের দাম বাড়লে আবাসন খাতেও খরচ বাড়বে। তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবার জন্য আবাসন গড়ার যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। আবাসন ব্যবসায়ী ডিএলএম প্রপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, নির্মাণ ব্যয় বাড়লে ফ্ল্যাটের দামও বাড়বে। প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম ৪২ টাকা বাড়লে প্রতি বর্গফুটে নির্মাণ খরচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে যাবে। তখন বিক্রয় মূল্য বর্গফুটে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বাড়বে। ১৮০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের দাম ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বেড়ে যাবে। এখনই হাজার হাজার ফ্ল্যাট ঢাকা শহরে অবিক্রীত রয়েছে। ক্রেতা নেই। দাম আরও বাড়ালে মধ্যবিত্ত ক্রেতা একেবারেই হারিয়ে যাবে।
শিরোনাম
- পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের
- যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন
- গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- পরিচয় গোপন করে চ্যাটের সুবিধা আনছে হোয়াটসঅ্যাপে
- ঢাকার বাতাস আজ কতটা বিষাক্ত?
- ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
- মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি
- হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
- ১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
- যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
- দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
- ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
- ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
- হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা