গত ২২ জুন ২০১৯ শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় সপ্তম কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোমুখি আমির হোসেন আমুর জবানিতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধিতা করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু)। আবদুল্লাহিল কাইয়ূম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ’৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভালো করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন। কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ছয় দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেডকোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ-অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সঙ্গে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ-অধিনায়কদের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। স্বাধিকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ষাট দশকের ছাত্রলীগের হাতেগোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ের কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ওই সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থি ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয়, পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল। কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধিকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তিতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজ বিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিচালনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসেবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণআদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে। এসব কিছু জানার পরও তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক।
শিরোনাম
- ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
- মেট্রোরেলের ট্র্যাক থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার
- ‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
- ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক
- ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে
- মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
- কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
- শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
- লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
- আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
- ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন