শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ আপডেট:

ইতিহাসের মুখোমুখি আমির হোসেন আমু

গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুজিববাহিনীর অন্যতম নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আমির হোসেন আমু বলেছেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘ইসলাম, মুসলমান, জিন্নাহ, পাকিস্তান’ অনুভূতিতে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্রকে যে মেনে নিতে পারেননি এবং কীভাবে তিনি শুরু থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে স্বাধিকার স্বাধীনতার পথে গোটা জাতিকে তার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তার ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, সেই ইতিহাস আগের পর্বগুলোয় বলেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই শুধু ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার নির্দেশিত পথে লড়াই সংগ্রামকে বেগবান করেনি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে এবং তার নির্দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি উন্মোচিত হয় ১৯৬২ সালে যখন তিনি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপহাইকমিশনার শশাঙ্ক ব্যানার্জির সঙ্গে মধ্যরাতে ইত্তেফাক অফিসে বসে তার অগ্রজ ও সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী পি ত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে লেখা চিঠি হস্তান্তর করেন এবং তার স্বাধীনতার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পর নেহেরু তখন আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাননি। তাই সময় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নে আপসহীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় ক্ষেপণ করতে রাজি হলেন না। তিনি গোপনে আগরতলা গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নেহেরুর কাছে পাঠিয়েছিলেন। নেহেরু তাকে অপেক্ষার বার্তা দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আগরতলায় আটকও হয়েছিলেন। সেই খবর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা জেনেও যায়। তিনি ফিরে আসার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর রাজপথের ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে নিউক্লিয়াস তত্ত্ব হাজির করে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখার দাবি করছেন, তারা ইতিহাসকেই বিকৃত করছেন না, নিজেদের ইতিহাসের মুখোমুখি উপহাসের পাত্রে পরিণত করে পাগলের প্রলাপ বকছেন। রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত ইতিহাসের অংশকে আবারও আমির হোসেন আমু ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, এ ধরনের আমিত্বের অন্ধকারে বসে কল্পিত রচনার সঙ্গে ইতিহাসের কোনো যোগসূত্র নেই। সিরাজুল আলম খান যখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকই হননি, তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর দেখা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে তার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন।

এমনকি সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি, ’৭১-এর ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত দেশের বামপন্থি ও বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেননি বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চেয়ে মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না। এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারের বিপরীতে কথা বলতেও লজ্জা লাগে। এক অর্বাচীন বালকের মনগড়া আষাঢ়ে গল্প নিয়ে কথা বলতে রুচিতে বাধে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পর অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ যেমন সমর্থন দিয়েছে তেমনি ’৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ব্যালট বিপ্লবে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতাই হননি, বাঙালি জাতির সাংবিধানিক ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হন। বঙ্গবন্ধুই তখন একক নেতা, আর তার নির্দেশে সব আন্দোলন সংগ্রামই হয়নি, গোটা জাতি হয়েছে ঐক্যবদ্ধ।

অগ্নিঝরা উত্তাল মার্চে ছাত্র ইউনিয়নও স্বাধীনতার পথে হাঁটা শুরু করে। দেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাও রাজপথে নেমে আসেন। যদি তারা না-ই আসতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন কী করে? এ প্রশ্ন তুলে আমু বলেন, বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ-দেশীয় আলবদরদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যেমন হত্যা করত না, তেমনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকরা কাজ করতেন না। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহানায়ক যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে সব শ্রেণি-পেশার এমনকি সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশ-বিডিআরেও বঙ্গবন্ধুরই ছিল যোগাযোগ। জেনারেল ওসমানী কোনো নিউক্লিয়াস বা কোনো খানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দেননি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এমএনএ নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যা জানতেন তা সবাই জানতেন না। তিনি যাদের যতটুকু জানাতেন, তারা ততটুকুই তার পরিকল্পনা জানতেন। আর স্বাধীনতার লক্ষ্যে তার নির্দেশিত পথে যেখানে যে অবস্থান থেকে যারাই কাজ করতেন, বঙ্গবন্ধু তাদের উৎসাহ দিতেন। ইত্তেফাকের ভূমিকা নিয়েও সিরাজুল আলম খান চরম মিথ্যাচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার পরিকল্পনা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যেমন জানতেন তেমনি তার লেখায় যেমন বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যকে তুলে ধরতেন তেমনি শেখ মুজিবও তার কর্মসূচি এবং আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপক প্রচার দিতেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬২ সালে আগরতলা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবন থেকেই তৎকালীন পূর্ব বাংলা পুলিশের প্রধান মহিউদ্দীন আহমেদকে টেলিফোন করলেন। পুলিশপ্রধান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর মামা ছিলেন। বললেন, ‘মামা আমি এখন বাসায় আছি।’ পুলিশপ্রধান তার বাসভবনে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করলেন। পুলিশ আগে থেকেই তাকে খুঁজছিল। অমিতসাহসী এবং কারাগার ও ফাঁসির মঞ্চকে তোয়াক্কা না করা শেখ মুজিব আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। পলাতক জীবন তিনি কখনই নেননি। একই সঙ্গে তার আগে ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে পুুলিশ গ্রেফতার করে। মানিক মিয়াকে যখন গ্রেফতার করতে পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ তার বাসভবনে যায়, তখন তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করতে এসেছ? শেখ মজিবর স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী হচ্ছি।’ কারাগারে মানিক মিয়া বসে রাজকীয় স্টাইলে সিগারেট টানছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য অর্জনের পথকে যারা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক বলে সাহস না থাকায় দ্বিমত পোষণ করতেন সেই আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ ও সালাম খানেরা কারাগারে হাজির হলেন। তারা কেউ কেউ মানিক মিয়াকে বলছিলেন, আগেই সতর্ক করেছিলাম, শেখ মুজিবের পথ ফাঁসিতে ঝোলার পথ। এখন ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। এর মধ্যে কারাগারে শেখ মুজিবকে নিয়ে এলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, আগের পর্বে বলেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েই নেহেরুকে বলাননি, মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের চিফ মিনিস্টার বিধান রায়কে দিয়েও বলিয়েছিলেন। এমনকি তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ত্রিলক্ষনাথ মহারাজের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। ’৭০ সালে মহারাজ প্রয়াত হলে চিত্তরঞ্জন সুতারকে সেই দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেলখাটা চিত্তরঞ্জন সুতারকে ’৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করে এনেছিলেন এবং নির্বাচনের পরই তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই চিত্তরঞ্জন সুতারের কলকাতার ঠিকানায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনামতো সবাই গিয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধু তার আগে ’৬৯ সালে লন্ডনে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিনিধি ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন। আর সিরাজুল আলম খান পাগলের মতো বলছেন, তারা তাদের স্বাধীনতার পরিকল্পনা ও নিউক্লিয়াস নিয়ে ’৬৯ সালে নাকি শেখ মুজিবকে অবহিত করেন। তারা কেমন নেতা ছিলেন, যে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামের মাঠের কর্মী হয়েও তার কোনো পরিকল্পনাই তারা জানতেন না!

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬৯-এ আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছিল, তাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ মুজিব জড়িত করেছিলেন। না হলে তারা আসামি হলেন কী করে? নিউক্লিয়াস তখন কোথায় ছিল? পূর্ব বাংলার অনেক পুলিশ অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাও বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সহযোগিতা করেছেন সেটিও তিনি নিজে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। সবখানে তিনি তার লোকজন প্রস্তুত করেন। ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রলীগেরটা জানতেন। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ছাড়াও সারা দেশেরটা জানতেন। কে কোথায় তার হয়ে কীভাবে কাজ করছেন, কীভাবে সহযোগিতা করছেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ছিল আরএসপি নেতাদের হাতে। মূল নেতা ছিলেন আরএসপির নেপাল নাহা। বঙ্গবন্ধু তাকে পক্ষে নিয়েছিলেন। আরএসপি করা আবদুল মান্নানকে তিনি তার রাজনীতিতে যুক্ত করেছিলেন। ’৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফার হরতালে এবং তার পরে শ্রমিকদের সংগঠিত করে রাজপথে এরাই নামিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান আজগুবি সব কথা বলছেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গববন্ধু যে ছয় দফা দেবেন এবং তার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মৃত্যুর আগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও তা অবহিত ছিলেন। তার সমর্থনও ছিল। ’৬৬ সালে লাহোরে নেজামে ইসলামের প্রধান চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে সব বিরোধী দলের বৈঠক বসলে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ছয় দফা উত্থাপন করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশও যদি ছয় দফা নিতে চায় তার আপত্তি নেই। কারণ, ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান তুলে তখন জি এম সাইদের নেতৃত্বে সিন্ধরা স্বায়ত্তশাসন চাইছে। বেলুচিস্তানিরাও চায়। কিন্তু বৈঠকে ছয় দফা উত্থাপন করলে কেউ সমর্থন করলেন না। এমনকি পূর্ব বাংলা থেকে যেসব নেতা গিয়েছিলেন তারাও গ্রহণ করেননি। বঙ্গবন্ধু পরদিন লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করেন। ঢাকায় ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফার ব্যাখ্যা দেন। তিনি এটাকে ‘বাঙালির বাঁচার দাবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি আসার আগেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ছয় দফার পোস্টারে ছেয়ে যায়। এটি ঘোষণার পর আইয়ুব খান তার মৌলিক গণতন্ত্রের সম্মেলনে রমনা গ্রিনে অস্ত্রের ভাষায় কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এই ছয় দফা পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটি ও দলীয় সম্মেলনে অনুমোদন করিয়ে সারা দেশ ৩৫ দিন সফর করে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। ৩৫টি জনসভা করেন যেখানে জনতার ঢল নামে। আটবার তিনি গ্রেফতার হন। ছয় দফা প্রচার করতে গিয়ে বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে দেওয়া তার বক্তব্য মানুষের হৃদয়ই জয় করেনি, তার পক্ষে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসতে শক্তি জুগিয়েছিল। ছয় দফার পর থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালির একক নেতা হয়ে ওঠেন। আমু বলেন, ’৬৬ সালে গ্রেফতারের দুই বছর পর যেদিন তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র ঘিরে ‘শেখ মুজিব বনাম রাষ্ট্র’ মামলা দায়ের করা হলো সেদিনই আমি ও শেখ শহীদ জগন্নাথ কলেজে গিয়ে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী ফিরোজ রশীদসহ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বিশাল মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ইকবাল হলের মাঠে নিয়ে আসি। সেখানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই আন্দোলন সংগ্রামের আগুন সারা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ছয় দফাকে রেখে ডাকসুসহ ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে; যা পরবর্তীতে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ সেসব আন্দোলন সংগ্রামের সভা-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। যেহেতু ডাকসু সব ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান তাই ডাকসুকেই এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বঙ্গবন্ধু প্রথম তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ওরা ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান দিলে আমাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে অসুবিধা কোথায়? তিনি সব সময় বলতেন, ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওদের চলে যেতে হবে। আর রবিঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গুন গুন করে গাইতেন। জাতীয় সংগীত তিনিই চূড়ান্ত করেছিলেন। জাতীয় পতাকা তিনিই অনুমোদন দিয়েছিলেন। ১ থেকে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৭ মার্চের ভাষণ তার একক সিদ্ধান্ত থেকে হয়েছে। ৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা তার নির্দেশের বাইরে করার সাহস কারও ছিল না।

২৩ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধান প্রণীত হওয়ায় দিনটি পাকিস্তান দিবস ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিরোধ দিবস ডাকা হলো। পাকিস্তান থেকে আগত ৪০ জনের মতো জনপ্রতিনিধি সেদিনের দৃশ্য দেখে বলেন, ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের চিহ্ন নেই। পাকিস্তানের সব চিহ্ন মুছে গেছে। সেদিন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয় তার হাতে। শ্রমিক লীগের আবদুল মান্নানও দেন। বঙ্গবন্ধু পতাকা নেড়ে হাজার হাজার মানুষের মিছিলে ছুটে আসা জনতার অভিবাদনের জবাব দেন। তিনি ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার সময় সেদিন গাড়ির একদিকে দলীয় পতাকা অন্যদিকে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে যান। এসব নিয়েও সিরাজ মনগড়া কথা বলেছেন।

বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়ার সঙ্গে একদিকে বৈঠক রেখেছেন আরেকদিকে স্বাধীনতার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। তাই এক দিনের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করেননি। সারা দেশে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগান তুলে আনসার-পুলিশদের সহায়তায় ট্রেনিং নিয়েছে। ইয়াহিয়া খান নির্বাচন ঘোষণা না করলে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং করে আসার প্রস্তুতিও তিনি করেছিলেন। যেমন পাকিস্তানের আক্রমণ ও স্বাধীনতা ঘোষণার পর ভারত গেলে যে সহযোগিতা, আশ্রয়, অর্থ, অস্ত্র, ট্রেনিং ও যুদ্ধের সহায়তার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিলেন।

সিরাজুল আলম খান ’৭০-এর নির্বাচনে ২০০ তরুণকে নিউক্লিয়াসের পরামর্শে বঙ্গবন্ধুর মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এবং নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে তাদের তিনজন করে প্রতিনিধি কাজ করেছেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চাইতে বড় মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এককভাবে সব আসনে নিজের হিসাব-নিকাশ থেকে নৌকার বিজয় বা তার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। (আগামীকাল শেষ পর্ব)

এই বিভাগের আরও খবর
লিটনদের পাত্তাই দিল না শ্রীলঙ্কা
লিটনদের পাত্তাই দিল না শ্রীলঙ্কা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন খসড়া অনুমোদন
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন খসড়া অনুমোদন
শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ
শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
সর্বশেষ খবর
চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার, বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার চার বছরের কারাদণ্ড
চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার, বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ফেনীতে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম, ভোগান্তি চরমে
ফেনীতে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম, ভোগান্তি চরমে

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় যৌতুকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পটিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ
পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গাইবান্ধায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ
সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়

৩১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, মাফিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে : সালাহউদ্দিন
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, মাফিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে : সালাহউদ্দিন

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে ভাঙছে পাড়
শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে ভাঙছে পাড়

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদেশি নারী ধর্ষণ: কে-পপ তারকার সাজা অর্ধেক করল আদাল
বিদেশি নারী ধর্ষণ: কে-পপ তারকার সাজা অর্ধেক করল আদাল

৩৬ মিনিট আগে | শোবিজ

আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল
আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আট মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আট মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরের পাখির দোকান থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
মিরপুরের পাখির দোকান থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার

৪৭ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা-কর্মী বহিষ্কার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এসএসসিতে গোপালগঞ্জে সেরা ‘রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’
এসএসসিতে গোপালগঞ্জে সেরা ‘রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকোর কর্মচারী গ্রেফতার
রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকোর কর্মচারী গ্রেফতার

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ১৩৮ জন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ১৩৮ জন

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন ছেলে
আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন ছেলে

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উরি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
উরি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার জালে ৩ গোল দিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন
শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল
২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এসএসসি পরীক্ষায় একজনেও পাশ করতে পারেনি বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী
এসএসসি পরীক্ষায় একজনেও পাশ করতে পারেনি বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়
সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়

২২ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী
রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন
গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা