শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ আপডেট:

ইতিহাসের মুখোমুখি আমির হোসেন আমু

গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুজিববাহিনীর অন্যতম নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আমির হোসেন আমু বলেছেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘ইসলাম, মুসলমান, জিন্নাহ, পাকিস্তান’ অনুভূতিতে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্রকে যে মেনে নিতে পারেননি এবং কীভাবে তিনি শুরু থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে স্বাধিকার স্বাধীনতার পথে গোটা জাতিকে তার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তার ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, সেই ইতিহাস আগের পর্বগুলোয় বলেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই শুধু ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার নির্দেশিত পথে লড়াই সংগ্রামকে বেগবান করেনি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে এবং তার নির্দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি উন্মোচিত হয় ১৯৬২ সালে যখন তিনি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপহাইকমিশনার শশাঙ্ক ব্যানার্জির সঙ্গে মধ্যরাতে ইত্তেফাক অফিসে বসে তার অগ্রজ ও সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী পি ত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে লেখা চিঠি হস্তান্তর করেন এবং তার স্বাধীনতার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পর নেহেরু তখন আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাননি। তাই সময় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নে আপসহীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় ক্ষেপণ করতে রাজি হলেন না। তিনি গোপনে আগরতলা গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নেহেরুর কাছে পাঠিয়েছিলেন। নেহেরু তাকে অপেক্ষার বার্তা দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আগরতলায় আটকও হয়েছিলেন। সেই খবর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা জেনেও যায়। তিনি ফিরে আসার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর রাজপথের ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে নিউক্লিয়াস তত্ত্ব হাজির করে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখার দাবি করছেন, তারা ইতিহাসকেই বিকৃত করছেন না, নিজেদের ইতিহাসের মুখোমুখি উপহাসের পাত্রে পরিণত করে পাগলের প্রলাপ বকছেন। রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত ইতিহাসের অংশকে আবারও আমির হোসেন আমু ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, এ ধরনের আমিত্বের অন্ধকারে বসে কল্পিত রচনার সঙ্গে ইতিহাসের কোনো যোগসূত্র নেই। সিরাজুল আলম খান যখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকই হননি, তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর দেখা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে তার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন।

এমনকি সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি, ’৭১-এর ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত দেশের বামপন্থি ও বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেননি বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চেয়ে মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না। এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারের বিপরীতে কথা বলতেও লজ্জা লাগে। এক অর্বাচীন বালকের মনগড়া আষাঢ়ে গল্প নিয়ে কথা বলতে রুচিতে বাধে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পর অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ যেমন সমর্থন দিয়েছে তেমনি ’৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ব্যালট বিপ্লবে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতাই হননি, বাঙালি জাতির সাংবিধানিক ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হন। বঙ্গবন্ধুই তখন একক নেতা, আর তার নির্দেশে সব আন্দোলন সংগ্রামই হয়নি, গোটা জাতি হয়েছে ঐক্যবদ্ধ।

অগ্নিঝরা উত্তাল মার্চে ছাত্র ইউনিয়নও স্বাধীনতার পথে হাঁটা শুরু করে। দেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাও রাজপথে নেমে আসেন। যদি তারা না-ই আসতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন কী করে? এ প্রশ্ন তুলে আমু বলেন, বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ-দেশীয় আলবদরদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যেমন হত্যা করত না, তেমনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকরা কাজ করতেন না। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহানায়ক যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে সব শ্রেণি-পেশার এমনকি সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশ-বিডিআরেও বঙ্গবন্ধুরই ছিল যোগাযোগ। জেনারেল ওসমানী কোনো নিউক্লিয়াস বা কোনো খানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দেননি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এমএনএ নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যা জানতেন তা সবাই জানতেন না। তিনি যাদের যতটুকু জানাতেন, তারা ততটুকুই তার পরিকল্পনা জানতেন। আর স্বাধীনতার লক্ষ্যে তার নির্দেশিত পথে যেখানে যে অবস্থান থেকে যারাই কাজ করতেন, বঙ্গবন্ধু তাদের উৎসাহ দিতেন। ইত্তেফাকের ভূমিকা নিয়েও সিরাজুল আলম খান চরম মিথ্যাচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার পরিকল্পনা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যেমন জানতেন তেমনি তার লেখায় যেমন বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যকে তুলে ধরতেন তেমনি শেখ মুজিবও তার কর্মসূচি এবং আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপক প্রচার দিতেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬২ সালে আগরতলা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবন থেকেই তৎকালীন পূর্ব বাংলা পুলিশের প্রধান মহিউদ্দীন আহমেদকে টেলিফোন করলেন। পুলিশপ্রধান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর মামা ছিলেন। বললেন, ‘মামা আমি এখন বাসায় আছি।’ পুলিশপ্রধান তার বাসভবনে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করলেন। পুলিশ আগে থেকেই তাকে খুঁজছিল। অমিতসাহসী এবং কারাগার ও ফাঁসির মঞ্চকে তোয়াক্কা না করা শেখ মুজিব আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। পলাতক জীবন তিনি কখনই নেননি। একই সঙ্গে তার আগে ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে পুুলিশ গ্রেফতার করে। মানিক মিয়াকে যখন গ্রেফতার করতে পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ তার বাসভবনে যায়, তখন তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করতে এসেছ? শেখ মজিবর স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী হচ্ছি।’ কারাগারে মানিক মিয়া বসে রাজকীয় স্টাইলে সিগারেট টানছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য অর্জনের পথকে যারা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক বলে সাহস না থাকায় দ্বিমত পোষণ করতেন সেই আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ ও সালাম খানেরা কারাগারে হাজির হলেন। তারা কেউ কেউ মানিক মিয়াকে বলছিলেন, আগেই সতর্ক করেছিলাম, শেখ মুজিবের পথ ফাঁসিতে ঝোলার পথ। এখন ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। এর মধ্যে কারাগারে শেখ মুজিবকে নিয়ে এলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, আগের পর্বে বলেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েই নেহেরুকে বলাননি, মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের চিফ মিনিস্টার বিধান রায়কে দিয়েও বলিয়েছিলেন। এমনকি তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ত্রিলক্ষনাথ মহারাজের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। ’৭০ সালে মহারাজ প্রয়াত হলে চিত্তরঞ্জন সুতারকে সেই দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেলখাটা চিত্তরঞ্জন সুতারকে ’৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করে এনেছিলেন এবং নির্বাচনের পরই তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই চিত্তরঞ্জন সুতারের কলকাতার ঠিকানায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনামতো সবাই গিয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধু তার আগে ’৬৯ সালে লন্ডনে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিনিধি ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন। আর সিরাজুল আলম খান পাগলের মতো বলছেন, তারা তাদের স্বাধীনতার পরিকল্পনা ও নিউক্লিয়াস নিয়ে ’৬৯ সালে নাকি শেখ মুজিবকে অবহিত করেন। তারা কেমন নেতা ছিলেন, যে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামের মাঠের কর্মী হয়েও তার কোনো পরিকল্পনাই তারা জানতেন না!

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬৯-এ আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছিল, তাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ মুজিব জড়িত করেছিলেন। না হলে তারা আসামি হলেন কী করে? নিউক্লিয়াস তখন কোথায় ছিল? পূর্ব বাংলার অনেক পুলিশ অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাও বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সহযোগিতা করেছেন সেটিও তিনি নিজে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। সবখানে তিনি তার লোকজন প্রস্তুত করেন। ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রলীগেরটা জানতেন। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ছাড়াও সারা দেশেরটা জানতেন। কে কোথায় তার হয়ে কীভাবে কাজ করছেন, কীভাবে সহযোগিতা করছেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ছিল আরএসপি নেতাদের হাতে। মূল নেতা ছিলেন আরএসপির নেপাল নাহা। বঙ্গবন্ধু তাকে পক্ষে নিয়েছিলেন। আরএসপি করা আবদুল মান্নানকে তিনি তার রাজনীতিতে যুক্ত করেছিলেন। ’৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফার হরতালে এবং তার পরে শ্রমিকদের সংগঠিত করে রাজপথে এরাই নামিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান আজগুবি সব কথা বলছেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গববন্ধু যে ছয় দফা দেবেন এবং তার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মৃত্যুর আগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও তা অবহিত ছিলেন। তার সমর্থনও ছিল। ’৬৬ সালে লাহোরে নেজামে ইসলামের প্রধান চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে সব বিরোধী দলের বৈঠক বসলে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ছয় দফা উত্থাপন করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশও যদি ছয় দফা নিতে চায় তার আপত্তি নেই। কারণ, ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান তুলে তখন জি এম সাইদের নেতৃত্বে সিন্ধরা স্বায়ত্তশাসন চাইছে। বেলুচিস্তানিরাও চায়। কিন্তু বৈঠকে ছয় দফা উত্থাপন করলে কেউ সমর্থন করলেন না। এমনকি পূর্ব বাংলা থেকে যেসব নেতা গিয়েছিলেন তারাও গ্রহণ করেননি। বঙ্গবন্ধু পরদিন লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করেন। ঢাকায় ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফার ব্যাখ্যা দেন। তিনি এটাকে ‘বাঙালির বাঁচার দাবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি আসার আগেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ছয় দফার পোস্টারে ছেয়ে যায়। এটি ঘোষণার পর আইয়ুব খান তার মৌলিক গণতন্ত্রের সম্মেলনে রমনা গ্রিনে অস্ত্রের ভাষায় কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এই ছয় দফা পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটি ও দলীয় সম্মেলনে অনুমোদন করিয়ে সারা দেশ ৩৫ দিন সফর করে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। ৩৫টি জনসভা করেন যেখানে জনতার ঢল নামে। আটবার তিনি গ্রেফতার হন। ছয় দফা প্রচার করতে গিয়ে বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে দেওয়া তার বক্তব্য মানুষের হৃদয়ই জয় করেনি, তার পক্ষে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসতে শক্তি জুগিয়েছিল। ছয় দফার পর থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালির একক নেতা হয়ে ওঠেন। আমু বলেন, ’৬৬ সালে গ্রেফতারের দুই বছর পর যেদিন তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র ঘিরে ‘শেখ মুজিব বনাম রাষ্ট্র’ মামলা দায়ের করা হলো সেদিনই আমি ও শেখ শহীদ জগন্নাথ কলেজে গিয়ে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী ফিরোজ রশীদসহ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বিশাল মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ইকবাল হলের মাঠে নিয়ে আসি। সেখানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই আন্দোলন সংগ্রামের আগুন সারা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ছয় দফাকে রেখে ডাকসুসহ ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে; যা পরবর্তীতে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ সেসব আন্দোলন সংগ্রামের সভা-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। যেহেতু ডাকসু সব ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান তাই ডাকসুকেই এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বঙ্গবন্ধু প্রথম তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ওরা ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান দিলে আমাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে অসুবিধা কোথায়? তিনি সব সময় বলতেন, ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওদের চলে যেতে হবে। আর রবিঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গুন গুন করে গাইতেন। জাতীয় সংগীত তিনিই চূড়ান্ত করেছিলেন। জাতীয় পতাকা তিনিই অনুমোদন দিয়েছিলেন। ১ থেকে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৭ মার্চের ভাষণ তার একক সিদ্ধান্ত থেকে হয়েছে। ৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা তার নির্দেশের বাইরে করার সাহস কারও ছিল না।

২৩ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধান প্রণীত হওয়ায় দিনটি পাকিস্তান দিবস ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিরোধ দিবস ডাকা হলো। পাকিস্তান থেকে আগত ৪০ জনের মতো জনপ্রতিনিধি সেদিনের দৃশ্য দেখে বলেন, ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের চিহ্ন নেই। পাকিস্তানের সব চিহ্ন মুছে গেছে। সেদিন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয় তার হাতে। শ্রমিক লীগের আবদুল মান্নানও দেন। বঙ্গবন্ধু পতাকা নেড়ে হাজার হাজার মানুষের মিছিলে ছুটে আসা জনতার অভিবাদনের জবাব দেন। তিনি ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার সময় সেদিন গাড়ির একদিকে দলীয় পতাকা অন্যদিকে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে যান। এসব নিয়েও সিরাজ মনগড়া কথা বলেছেন।

বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়ার সঙ্গে একদিকে বৈঠক রেখেছেন আরেকদিকে স্বাধীনতার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। তাই এক দিনের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করেননি। সারা দেশে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগান তুলে আনসার-পুলিশদের সহায়তায় ট্রেনিং নিয়েছে। ইয়াহিয়া খান নির্বাচন ঘোষণা না করলে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং করে আসার প্রস্তুতিও তিনি করেছিলেন। যেমন পাকিস্তানের আক্রমণ ও স্বাধীনতা ঘোষণার পর ভারত গেলে যে সহযোগিতা, আশ্রয়, অর্থ, অস্ত্র, ট্রেনিং ও যুদ্ধের সহায়তার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিলেন।

সিরাজুল আলম খান ’৭০-এর নির্বাচনে ২০০ তরুণকে নিউক্লিয়াসের পরামর্শে বঙ্গবন্ধুর মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এবং নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে তাদের তিনজন করে প্রতিনিধি কাজ করেছেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চাইতে বড় মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এককভাবে সব আসনে নিজের হিসাব-নিকাশ থেকে নৌকার বিজয় বা তার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। (আগামীকাল শেষ পর্ব)

এই বিভাগের আরও খবর
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
ব্যাংকলুটের টাকায় নাশকতা
ব্যাংকলুটের টাকায় নাশকতা
আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
সর্বশেষ খবর
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মানিকগঞ্জের ঢেঁকিছাঁটা চাল যাচ্ছে সারাদেশে
মানিকগঞ্জের ঢেঁকিছাঁটা চাল যাচ্ছে সারাদেশে

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কান্নার শব্দে ধানক্ষেতে মিলল নবজাতক
কান্নার শব্দে ধানক্ষেতে মিলল নবজাতক

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
ঢাকায় মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

খাদ্যে অননুমোদিত ‘গোলাপ ও কেওড়া জল’ ব্যবহারে সতর্কবার্তা
খাদ্যে অননুমোদিত ‘গোলাপ ও কেওড়া জল’ ব্যবহারে সতর্কবার্তা

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

লিগ্যাল এইড হেল্পলাইনের টোল ফ্রি নতুন নম্বর ‘১৬৬৯৯’
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইনের টোল ফ্রি নতুন নম্বর ‘১৬৬৯৯’

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে যোগদান করলেন নতুন ডিসি নাজমুল ইসলাম
চাঁদপুরে যোগদান করলেন নতুন ডিসি নাজমুল ইসলাম

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিশনের প্রেস উইংয়ের প্রথম সচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের পদায়নে তথ্য ক্যাডারের প্রতিবাদ
মিশনের প্রেস উইংয়ের প্রথম সচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের পদায়নে তথ্য ক্যাডারের প্রতিবাদ

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের আরও ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের আরও ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

স্যার সলিমুল্লাহ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নতুন পরিচালক নিয়োগ
স্যার সলিমুল্লাহ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নতুন পরিচালক নিয়োগ

২৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নাইজেরিয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে হত্যার দাবি জিহাদিদের
নাইজেরিয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে হত্যার দাবি জিহাদিদের

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টের মাইলফলকে মুশফিক
শততম টেস্টের মাইলফলকে মুশফিক

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তাইওয়ান বিতর্ক: চীনে জাপানি চলচ্চিত্রের মুক্তি স্থগিত
তাইওয়ান বিতর্ক: চীনে জাপানি চলচ্চিত্রের মুক্তি স্থগিত

২৬ মিনিট আগে | শোবিজ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৮ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৮ জনের মৃত্যু

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২০

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

বসুন্ধরা শুভসংঘ আইইউবিএটি শাখায় মাসিক কুইজ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
বসুন্ধরা শুভসংঘ আইইউবিএটি শাখায় মাসিক কুইজ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

৩৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পরিবারসহ কাজী জাফরের আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ
পরিবারসহ কাজী জাফরের আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের উদ্যোগে বগুড়ায় দিনব্যাপী সেবামূলক মানবিক কর্মসূচি
তারেক রহমানের উদ্যোগে বগুড়ায় দিনব্যাপী সেবামূলক মানবিক কর্মসূচি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

জনগণ হচ্ছে এ দেশের মূল শক্তি : আবুল খায়ের ভূঁইয়া
জনগণ হচ্ছে এ দেশের মূল শক্তি : আবুল খায়ের ভূঁইয়া

৫০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে সরকার
৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে সরকার

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের
চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নৌকাসহ ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড
নৌকাসহ ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আনন্দ র‌্যালি
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আনন্দ র‌্যালি

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা
এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লামায় পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে বাধা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লামায় পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে বাধা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা
লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে