শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ আপডেট:

ইতিহাসের মুখোমুখি আমির হোসেন আমু

গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুজিববাহিনীর অন্যতম নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আমির হোসেন আমু বলেছেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘ইসলাম, মুসলমান, জিন্নাহ, পাকিস্তান’ অনুভূতিতে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্রকে যে মেনে নিতে পারেননি এবং কীভাবে তিনি শুরু থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে স্বাধিকার স্বাধীনতার পথে গোটা জাতিকে তার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তার ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, সেই ইতিহাস আগের পর্বগুলোয় বলেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই শুধু ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার নির্দেশিত পথে লড়াই সংগ্রামকে বেগবান করেনি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে এবং তার নির্দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি উন্মোচিত হয় ১৯৬২ সালে যখন তিনি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপহাইকমিশনার শশাঙ্ক ব্যানার্জির সঙ্গে মধ্যরাতে ইত্তেফাক অফিসে বসে তার অগ্রজ ও সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী পি ত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে লেখা চিঠি হস্তান্তর করেন এবং তার স্বাধীনতার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পর নেহেরু তখন আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাননি। তাই সময় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নে আপসহীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় ক্ষেপণ করতে রাজি হলেন না। তিনি গোপনে আগরতলা গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নেহেরুর কাছে পাঠিয়েছিলেন। নেহেরু তাকে অপেক্ষার বার্তা দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আগরতলায় আটকও হয়েছিলেন। সেই খবর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা জেনেও যায়। তিনি ফিরে আসার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর রাজপথের ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে নিউক্লিয়াস তত্ত্ব হাজির করে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখার দাবি করছেন, তারা ইতিহাসকেই বিকৃত করছেন না, নিজেদের ইতিহাসের মুখোমুখি উপহাসের পাত্রে পরিণত করে পাগলের প্রলাপ বকছেন। রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত ইতিহাসের অংশকে আবারও আমির হোসেন আমু ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, এ ধরনের আমিত্বের অন্ধকারে বসে কল্পিত রচনার সঙ্গে ইতিহাসের কোনো যোগসূত্র নেই। সিরাজুল আলম খান যখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকই হননি, তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর দেখা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে তার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন।

এমনকি সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি, ’৭১-এর ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত দেশের বামপন্থি ও বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেননি বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চেয়ে মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না। এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারের বিপরীতে কথা বলতেও লজ্জা লাগে। এক অর্বাচীন বালকের মনগড়া আষাঢ়ে গল্প নিয়ে কথা বলতে রুচিতে বাধে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পর অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ যেমন সমর্থন দিয়েছে তেমনি ’৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ব্যালট বিপ্লবে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতাই হননি, বাঙালি জাতির সাংবিধানিক ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হন। বঙ্গবন্ধুই তখন একক নেতা, আর তার নির্দেশে সব আন্দোলন সংগ্রামই হয়নি, গোটা জাতি হয়েছে ঐক্যবদ্ধ।

অগ্নিঝরা উত্তাল মার্চে ছাত্র ইউনিয়নও স্বাধীনতার পথে হাঁটা শুরু করে। দেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাও রাজপথে নেমে আসেন। যদি তারা না-ই আসতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন কী করে? এ প্রশ্ন তুলে আমু বলেন, বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ-দেশীয় আলবদরদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যেমন হত্যা করত না, তেমনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকরা কাজ করতেন না। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহানায়ক যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে সব শ্রেণি-পেশার এমনকি সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশ-বিডিআরেও বঙ্গবন্ধুরই ছিল যোগাযোগ। জেনারেল ওসমানী কোনো নিউক্লিয়াস বা কোনো খানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দেননি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এমএনএ নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যা জানতেন তা সবাই জানতেন না। তিনি যাদের যতটুকু জানাতেন, তারা ততটুকুই তার পরিকল্পনা জানতেন। আর স্বাধীনতার লক্ষ্যে তার নির্দেশিত পথে যেখানে যে অবস্থান থেকে যারাই কাজ করতেন, বঙ্গবন্ধু তাদের উৎসাহ দিতেন। ইত্তেফাকের ভূমিকা নিয়েও সিরাজুল আলম খান চরম মিথ্যাচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার পরিকল্পনা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যেমন জানতেন তেমনি তার লেখায় যেমন বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যকে তুলে ধরতেন তেমনি শেখ মুজিবও তার কর্মসূচি এবং আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপক প্রচার দিতেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬২ সালে আগরতলা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবন থেকেই তৎকালীন পূর্ব বাংলা পুলিশের প্রধান মহিউদ্দীন আহমেদকে টেলিফোন করলেন। পুলিশপ্রধান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর মামা ছিলেন। বললেন, ‘মামা আমি এখন বাসায় আছি।’ পুলিশপ্রধান তার বাসভবনে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করলেন। পুলিশ আগে থেকেই তাকে খুঁজছিল। অমিতসাহসী এবং কারাগার ও ফাঁসির মঞ্চকে তোয়াক্কা না করা শেখ মুজিব আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। পলাতক জীবন তিনি কখনই নেননি। একই সঙ্গে তার আগে ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে পুুলিশ গ্রেফতার করে। মানিক মিয়াকে যখন গ্রেফতার করতে পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ তার বাসভবনে যায়, তখন তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করতে এসেছ? শেখ মজিবর স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী হচ্ছি।’ কারাগারে মানিক মিয়া বসে রাজকীয় স্টাইলে সিগারেট টানছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য অর্জনের পথকে যারা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক বলে সাহস না থাকায় দ্বিমত পোষণ করতেন সেই আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ ও সালাম খানেরা কারাগারে হাজির হলেন। তারা কেউ কেউ মানিক মিয়াকে বলছিলেন, আগেই সতর্ক করেছিলাম, শেখ মুজিবের পথ ফাঁসিতে ঝোলার পথ। এখন ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। এর মধ্যে কারাগারে শেখ মুজিবকে নিয়ে এলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, আগের পর্বে বলেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েই নেহেরুকে বলাননি, মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের চিফ মিনিস্টার বিধান রায়কে দিয়েও বলিয়েছিলেন। এমনকি তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ত্রিলক্ষনাথ মহারাজের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। ’৭০ সালে মহারাজ প্রয়াত হলে চিত্তরঞ্জন সুতারকে সেই দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেলখাটা চিত্তরঞ্জন সুতারকে ’৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করে এনেছিলেন এবং নির্বাচনের পরই তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই চিত্তরঞ্জন সুতারের কলকাতার ঠিকানায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনামতো সবাই গিয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধু তার আগে ’৬৯ সালে লন্ডনে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিনিধি ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন। আর সিরাজুল আলম খান পাগলের মতো বলছেন, তারা তাদের স্বাধীনতার পরিকল্পনা ও নিউক্লিয়াস নিয়ে ’৬৯ সালে নাকি শেখ মুজিবকে অবহিত করেন। তারা কেমন নেতা ছিলেন, যে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামের মাঠের কর্মী হয়েও তার কোনো পরিকল্পনাই তারা জানতেন না!

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬৯-এ আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছিল, তাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ মুজিব জড়িত করেছিলেন। না হলে তারা আসামি হলেন কী করে? নিউক্লিয়াস তখন কোথায় ছিল? পূর্ব বাংলার অনেক পুলিশ অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাও বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সহযোগিতা করেছেন সেটিও তিনি নিজে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। সবখানে তিনি তার লোকজন প্রস্তুত করেন। ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রলীগেরটা জানতেন। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ছাড়াও সারা দেশেরটা জানতেন। কে কোথায় তার হয়ে কীভাবে কাজ করছেন, কীভাবে সহযোগিতা করছেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ছিল আরএসপি নেতাদের হাতে। মূল নেতা ছিলেন আরএসপির নেপাল নাহা। বঙ্গবন্ধু তাকে পক্ষে নিয়েছিলেন। আরএসপি করা আবদুল মান্নানকে তিনি তার রাজনীতিতে যুক্ত করেছিলেন। ’৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফার হরতালে এবং তার পরে শ্রমিকদের সংগঠিত করে রাজপথে এরাই নামিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান আজগুবি সব কথা বলছেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গববন্ধু যে ছয় দফা দেবেন এবং তার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মৃত্যুর আগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও তা অবহিত ছিলেন। তার সমর্থনও ছিল। ’৬৬ সালে লাহোরে নেজামে ইসলামের প্রধান চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে সব বিরোধী দলের বৈঠক বসলে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ছয় দফা উত্থাপন করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশও যদি ছয় দফা নিতে চায় তার আপত্তি নেই। কারণ, ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান তুলে তখন জি এম সাইদের নেতৃত্বে সিন্ধরা স্বায়ত্তশাসন চাইছে। বেলুচিস্তানিরাও চায়। কিন্তু বৈঠকে ছয় দফা উত্থাপন করলে কেউ সমর্থন করলেন না। এমনকি পূর্ব বাংলা থেকে যেসব নেতা গিয়েছিলেন তারাও গ্রহণ করেননি। বঙ্গবন্ধু পরদিন লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করেন। ঢাকায় ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফার ব্যাখ্যা দেন। তিনি এটাকে ‘বাঙালির বাঁচার দাবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি আসার আগেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ছয় দফার পোস্টারে ছেয়ে যায়। এটি ঘোষণার পর আইয়ুব খান তার মৌলিক গণতন্ত্রের সম্মেলনে রমনা গ্রিনে অস্ত্রের ভাষায় কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এই ছয় দফা পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটি ও দলীয় সম্মেলনে অনুমোদন করিয়ে সারা দেশ ৩৫ দিন সফর করে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। ৩৫টি জনসভা করেন যেখানে জনতার ঢল নামে। আটবার তিনি গ্রেফতার হন। ছয় দফা প্রচার করতে গিয়ে বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে দেওয়া তার বক্তব্য মানুষের হৃদয়ই জয় করেনি, তার পক্ষে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসতে শক্তি জুগিয়েছিল। ছয় দফার পর থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালির একক নেতা হয়ে ওঠেন। আমু বলেন, ’৬৬ সালে গ্রেফতারের দুই বছর পর যেদিন তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র ঘিরে ‘শেখ মুজিব বনাম রাষ্ট্র’ মামলা দায়ের করা হলো সেদিনই আমি ও শেখ শহীদ জগন্নাথ কলেজে গিয়ে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী ফিরোজ রশীদসহ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বিশাল মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ইকবাল হলের মাঠে নিয়ে আসি। সেখানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই আন্দোলন সংগ্রামের আগুন সারা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ছয় দফাকে রেখে ডাকসুসহ ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে; যা পরবর্তীতে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ সেসব আন্দোলন সংগ্রামের সভা-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। যেহেতু ডাকসু সব ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান তাই ডাকসুকেই এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বঙ্গবন্ধু প্রথম তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ওরা ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান দিলে আমাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে অসুবিধা কোথায়? তিনি সব সময় বলতেন, ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওদের চলে যেতে হবে। আর রবিঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গুন গুন করে গাইতেন। জাতীয় সংগীত তিনিই চূড়ান্ত করেছিলেন। জাতীয় পতাকা তিনিই অনুমোদন দিয়েছিলেন। ১ থেকে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৭ মার্চের ভাষণ তার একক সিদ্ধান্ত থেকে হয়েছে। ৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা তার নির্দেশের বাইরে করার সাহস কারও ছিল না।

২৩ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধান প্রণীত হওয়ায় দিনটি পাকিস্তান দিবস ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিরোধ দিবস ডাকা হলো। পাকিস্তান থেকে আগত ৪০ জনের মতো জনপ্রতিনিধি সেদিনের দৃশ্য দেখে বলেন, ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের চিহ্ন নেই। পাকিস্তানের সব চিহ্ন মুছে গেছে। সেদিন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয় তার হাতে। শ্রমিক লীগের আবদুল মান্নানও দেন। বঙ্গবন্ধু পতাকা নেড়ে হাজার হাজার মানুষের মিছিলে ছুটে আসা জনতার অভিবাদনের জবাব দেন। তিনি ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার সময় সেদিন গাড়ির একদিকে দলীয় পতাকা অন্যদিকে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে যান। এসব নিয়েও সিরাজ মনগড়া কথা বলেছেন।

বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়ার সঙ্গে একদিকে বৈঠক রেখেছেন আরেকদিকে স্বাধীনতার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। তাই এক দিনের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করেননি। সারা দেশে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগান তুলে আনসার-পুলিশদের সহায়তায় ট্রেনিং নিয়েছে। ইয়াহিয়া খান নির্বাচন ঘোষণা না করলে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং করে আসার প্রস্তুতিও তিনি করেছিলেন। যেমন পাকিস্তানের আক্রমণ ও স্বাধীনতা ঘোষণার পর ভারত গেলে যে সহযোগিতা, আশ্রয়, অর্থ, অস্ত্র, ট্রেনিং ও যুদ্ধের সহায়তার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিলেন।

সিরাজুল আলম খান ’৭০-এর নির্বাচনে ২০০ তরুণকে নিউক্লিয়াসের পরামর্শে বঙ্গবন্ধুর মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এবং নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে তাদের তিনজন করে প্রতিনিধি কাজ করেছেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চাইতে বড় মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এককভাবে সব আসনে নিজের হিসাব-নিকাশ থেকে নৌকার বিজয় বা তার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। (আগামীকাল শেষ পর্ব)

এই বিভাগের আরও খবর
সংসদ ও গণভোট এক দিনে, ইসিকে চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সংসদ ও গণভোট এক দিনে, ইসিকে চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
নিহতদের পরিবারে মাতম থামছেই না
নিহতদের পরিবারে মাতম থামছেই না
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
৪ উইকেটের অপেক্ষা
৪ উইকেটের অপেক্ষা
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
দুই সমঝোতা স্মারক সই
দুই সমঝোতা স্মারক সই
সর্বশেষ খবর
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৫ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

২৭ মিনিট আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

৩২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

৩৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ
৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন
ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন
কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা