শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ আপডেট:

ইতিহাসের মুখোমুখি আমির হোসেন আমু

গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুজিববাহিনীর অন্যতম নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আমির হোসেন আমু বলেছেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘ইসলাম, মুসলমান, জিন্নাহ, পাকিস্তান’ অনুভূতিতে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্রকে যে মেনে নিতে পারেননি এবং কীভাবে তিনি শুরু থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে স্বাধিকার স্বাধীনতার পথে গোটা জাতিকে তার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তার ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, সেই ইতিহাস আগের পর্বগুলোয় বলেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই শুধু ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার নির্দেশিত পথে লড়াই সংগ্রামকে বেগবান করেনি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে এবং তার নির্দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি উন্মোচিত হয় ১৯৬২ সালে যখন তিনি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপহাইকমিশনার শশাঙ্ক ব্যানার্জির সঙ্গে মধ্যরাতে ইত্তেফাক অফিসে বসে তার অগ্রজ ও সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী পি ত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে লেখা চিঠি হস্তান্তর করেন এবং তার স্বাধীনতার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পর নেহেরু তখন আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাননি। তাই সময় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নে আপসহীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় ক্ষেপণ করতে রাজি হলেন না। তিনি গোপনে আগরতলা গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নেহেরুর কাছে পাঠিয়েছিলেন। নেহেরু তাকে অপেক্ষার বার্তা দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আগরতলায় আটকও হয়েছিলেন। সেই খবর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা জেনেও যায়। তিনি ফিরে আসার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর রাজপথের ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে নিউক্লিয়াস তত্ত্ব হাজির করে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখার দাবি করছেন, তারা ইতিহাসকেই বিকৃত করছেন না, নিজেদের ইতিহাসের মুখোমুখি উপহাসের পাত্রে পরিণত করে পাগলের প্রলাপ বকছেন। রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত ইতিহাসের অংশকে আবারও আমির হোসেন আমু ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, এ ধরনের আমিত্বের অন্ধকারে বসে কল্পিত রচনার সঙ্গে ইতিহাসের কোনো যোগসূত্র নেই। সিরাজুল আলম খান যখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকই হননি, তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর দেখা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে তার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন।

এমনকি সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি, ’৭১-এর ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত দেশের বামপন্থি ও বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেননি বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চেয়ে মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না। এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারের বিপরীতে কথা বলতেও লজ্জা লাগে। এক অর্বাচীন বালকের মনগড়া আষাঢ়ে গল্প নিয়ে কথা বলতে রুচিতে বাধে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পর অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ যেমন সমর্থন দিয়েছে তেমনি ’৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ব্যালট বিপ্লবে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতাই হননি, বাঙালি জাতির সাংবিধানিক ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হন। বঙ্গবন্ধুই তখন একক নেতা, আর তার নির্দেশে সব আন্দোলন সংগ্রামই হয়নি, গোটা জাতি হয়েছে ঐক্যবদ্ধ।

অগ্নিঝরা উত্তাল মার্চে ছাত্র ইউনিয়নও স্বাধীনতার পথে হাঁটা শুরু করে। দেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাও রাজপথে নেমে আসেন। যদি তারা না-ই আসতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন কী করে? এ প্রশ্ন তুলে আমু বলেন, বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ-দেশীয় আলবদরদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যেমন হত্যা করত না, তেমনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকরা কাজ করতেন না। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহানায়ক যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে সব শ্রেণি-পেশার এমনকি সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশ-বিডিআরেও বঙ্গবন্ধুরই ছিল যোগাযোগ। জেনারেল ওসমানী কোনো নিউক্লিয়াস বা কোনো খানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দেননি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এমএনএ নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যা জানতেন তা সবাই জানতেন না। তিনি যাদের যতটুকু জানাতেন, তারা ততটুকুই তার পরিকল্পনা জানতেন। আর স্বাধীনতার লক্ষ্যে তার নির্দেশিত পথে যেখানে যে অবস্থান থেকে যারাই কাজ করতেন, বঙ্গবন্ধু তাদের উৎসাহ দিতেন। ইত্তেফাকের ভূমিকা নিয়েও সিরাজুল আলম খান চরম মিথ্যাচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার পরিকল্পনা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যেমন জানতেন তেমনি তার লেখায় যেমন বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যকে তুলে ধরতেন তেমনি শেখ মুজিবও তার কর্মসূচি এবং আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপক প্রচার দিতেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬২ সালে আগরতলা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবন থেকেই তৎকালীন পূর্ব বাংলা পুলিশের প্রধান মহিউদ্দীন আহমেদকে টেলিফোন করলেন। পুলিশপ্রধান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর মামা ছিলেন। বললেন, ‘মামা আমি এখন বাসায় আছি।’ পুলিশপ্রধান তার বাসভবনে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করলেন। পুলিশ আগে থেকেই তাকে খুঁজছিল। অমিতসাহসী এবং কারাগার ও ফাঁসির মঞ্চকে তোয়াক্কা না করা শেখ মুজিব আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। পলাতক জীবন তিনি কখনই নেননি। একই সঙ্গে তার আগে ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে পুুলিশ গ্রেফতার করে। মানিক মিয়াকে যখন গ্রেফতার করতে পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ তার বাসভবনে যায়, তখন তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করতে এসেছ? শেখ মজিবর স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী হচ্ছি।’ কারাগারে মানিক মিয়া বসে রাজকীয় স্টাইলে সিগারেট টানছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য অর্জনের পথকে যারা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক বলে সাহস না থাকায় দ্বিমত পোষণ করতেন সেই আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ ও সালাম খানেরা কারাগারে হাজির হলেন। তারা কেউ কেউ মানিক মিয়াকে বলছিলেন, আগেই সতর্ক করেছিলাম, শেখ মুজিবের পথ ফাঁসিতে ঝোলার পথ। এখন ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। এর মধ্যে কারাগারে শেখ মুজিবকে নিয়ে এলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, আগের পর্বে বলেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েই নেহেরুকে বলাননি, মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের চিফ মিনিস্টার বিধান রায়কে দিয়েও বলিয়েছিলেন। এমনকি তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ত্রিলক্ষনাথ মহারাজের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। ’৭০ সালে মহারাজ প্রয়াত হলে চিত্তরঞ্জন সুতারকে সেই দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেলখাটা চিত্তরঞ্জন সুতারকে ’৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করে এনেছিলেন এবং নির্বাচনের পরই তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই চিত্তরঞ্জন সুতারের কলকাতার ঠিকানায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনামতো সবাই গিয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধু তার আগে ’৬৯ সালে লন্ডনে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিনিধি ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন। আর সিরাজুল আলম খান পাগলের মতো বলছেন, তারা তাদের স্বাধীনতার পরিকল্পনা ও নিউক্লিয়াস নিয়ে ’৬৯ সালে নাকি শেখ মুজিবকে অবহিত করেন। তারা কেমন নেতা ছিলেন, যে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামের মাঠের কর্মী হয়েও তার কোনো পরিকল্পনাই তারা জানতেন না!

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬৯-এ আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছিল, তাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ মুজিব জড়িত করেছিলেন। না হলে তারা আসামি হলেন কী করে? নিউক্লিয়াস তখন কোথায় ছিল? পূর্ব বাংলার অনেক পুলিশ অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাও বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সহযোগিতা করেছেন সেটিও তিনি নিজে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। সবখানে তিনি তার লোকজন প্রস্তুত করেন। ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রলীগেরটা জানতেন। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ছাড়াও সারা দেশেরটা জানতেন। কে কোথায় তার হয়ে কীভাবে কাজ করছেন, কীভাবে সহযোগিতা করছেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ছিল আরএসপি নেতাদের হাতে। মূল নেতা ছিলেন আরএসপির নেপাল নাহা। বঙ্গবন্ধু তাকে পক্ষে নিয়েছিলেন। আরএসপি করা আবদুল মান্নানকে তিনি তার রাজনীতিতে যুক্ত করেছিলেন। ’৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফার হরতালে এবং তার পরে শ্রমিকদের সংগঠিত করে রাজপথে এরাই নামিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান আজগুবি সব কথা বলছেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গববন্ধু যে ছয় দফা দেবেন এবং তার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মৃত্যুর আগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও তা অবহিত ছিলেন। তার সমর্থনও ছিল। ’৬৬ সালে লাহোরে নেজামে ইসলামের প্রধান চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে সব বিরোধী দলের বৈঠক বসলে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ছয় দফা উত্থাপন করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশও যদি ছয় দফা নিতে চায় তার আপত্তি নেই। কারণ, ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান তুলে তখন জি এম সাইদের নেতৃত্বে সিন্ধরা স্বায়ত্তশাসন চাইছে। বেলুচিস্তানিরাও চায়। কিন্তু বৈঠকে ছয় দফা উত্থাপন করলে কেউ সমর্থন করলেন না। এমনকি পূর্ব বাংলা থেকে যেসব নেতা গিয়েছিলেন তারাও গ্রহণ করেননি। বঙ্গবন্ধু পরদিন লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করেন। ঢাকায় ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফার ব্যাখ্যা দেন। তিনি এটাকে ‘বাঙালির বাঁচার দাবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি আসার আগেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ছয় দফার পোস্টারে ছেয়ে যায়। এটি ঘোষণার পর আইয়ুব খান তার মৌলিক গণতন্ত্রের সম্মেলনে রমনা গ্রিনে অস্ত্রের ভাষায় কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এই ছয় দফা পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটি ও দলীয় সম্মেলনে অনুমোদন করিয়ে সারা দেশ ৩৫ দিন সফর করে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। ৩৫টি জনসভা করেন যেখানে জনতার ঢল নামে। আটবার তিনি গ্রেফতার হন। ছয় দফা প্রচার করতে গিয়ে বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে দেওয়া তার বক্তব্য মানুষের হৃদয়ই জয় করেনি, তার পক্ষে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসতে শক্তি জুগিয়েছিল। ছয় দফার পর থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালির একক নেতা হয়ে ওঠেন। আমু বলেন, ’৬৬ সালে গ্রেফতারের দুই বছর পর যেদিন তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র ঘিরে ‘শেখ মুজিব বনাম রাষ্ট্র’ মামলা দায়ের করা হলো সেদিনই আমি ও শেখ শহীদ জগন্নাথ কলেজে গিয়ে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী ফিরোজ রশীদসহ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বিশাল মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ইকবাল হলের মাঠে নিয়ে আসি। সেখানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই আন্দোলন সংগ্রামের আগুন সারা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ছয় দফাকে রেখে ডাকসুসহ ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে; যা পরবর্তীতে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ সেসব আন্দোলন সংগ্রামের সভা-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। যেহেতু ডাকসু সব ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান তাই ডাকসুকেই এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বঙ্গবন্ধু প্রথম তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ওরা ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান দিলে আমাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে অসুবিধা কোথায়? তিনি সব সময় বলতেন, ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওদের চলে যেতে হবে। আর রবিঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গুন গুন করে গাইতেন। জাতীয় সংগীত তিনিই চূড়ান্ত করেছিলেন। জাতীয় পতাকা তিনিই অনুমোদন দিয়েছিলেন। ১ থেকে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৭ মার্চের ভাষণ তার একক সিদ্ধান্ত থেকে হয়েছে। ৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা তার নির্দেশের বাইরে করার সাহস কারও ছিল না।

২৩ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধান প্রণীত হওয়ায় দিনটি পাকিস্তান দিবস ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিরোধ দিবস ডাকা হলো। পাকিস্তান থেকে আগত ৪০ জনের মতো জনপ্রতিনিধি সেদিনের দৃশ্য দেখে বলেন, ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের চিহ্ন নেই। পাকিস্তানের সব চিহ্ন মুছে গেছে। সেদিন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয় তার হাতে। শ্রমিক লীগের আবদুল মান্নানও দেন। বঙ্গবন্ধু পতাকা নেড়ে হাজার হাজার মানুষের মিছিলে ছুটে আসা জনতার অভিবাদনের জবাব দেন। তিনি ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার সময় সেদিন গাড়ির একদিকে দলীয় পতাকা অন্যদিকে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে যান। এসব নিয়েও সিরাজ মনগড়া কথা বলেছেন।

বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়ার সঙ্গে একদিকে বৈঠক রেখেছেন আরেকদিকে স্বাধীনতার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। তাই এক দিনের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করেননি। সারা দেশে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগান তুলে আনসার-পুলিশদের সহায়তায় ট্রেনিং নিয়েছে। ইয়াহিয়া খান নির্বাচন ঘোষণা না করলে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং করে আসার প্রস্তুতিও তিনি করেছিলেন। যেমন পাকিস্তানের আক্রমণ ও স্বাধীনতা ঘোষণার পর ভারত গেলে যে সহযোগিতা, আশ্রয়, অর্থ, অস্ত্র, ট্রেনিং ও যুদ্ধের সহায়তার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিলেন।

সিরাজুল আলম খান ’৭০-এর নির্বাচনে ২০০ তরুণকে নিউক্লিয়াসের পরামর্শে বঙ্গবন্ধুর মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এবং নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে তাদের তিনজন করে প্রতিনিধি কাজ করেছেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চাইতে বড় মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এককভাবে সব আসনে নিজের হিসাব-নিকাশ থেকে নৌকার বিজয় বা তার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। (আগামীকাল শেষ পর্ব)

এই বিভাগের আরও খবর
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে
এক দিনে মূলধন কমল ৮ হাজার কোটি টাকা
এক দিনে মূলধন কমল ৮ হাজার কোটি টাকা
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
সুন্দর দেশ গড়তে দরকার ভালো সরকার
সুন্দর দেশ গড়তে দরকার ভালো সরকার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্রিটিশ উন্নয়নমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্রিটিশ উন্নয়নমন্ত্রী
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আলী রীয়াজ
গণতান্ত্রিক ধারায়  ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি
ভোটের পরিবেশ নিয়ে ইসিতে শঙ্কা জানাল দলগুলো
ভোটের পরিবেশ নিয়ে ইসিতে শঙ্কা জানাল দলগুলো
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি
ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেঘনায় ট্রলার ডুবে দুই যুবক নিখোঁজ
মেঘনায় ট্রলার ডুবে দুই যুবক নিখোঁজ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জনগণই আওয়ামী লীগকে লকডাউন করেছে : সেলিমুজ্জামান
জনগণই আওয়ামী লীগকে লকডাউন করেছে : সেলিমুজ্জামান

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নোংরা পরিবেশে ড্রিংক তৈরির অভিযোগে কারখানা সিলগালা
নোংরা পরিবেশে ড্রিংক তৈরির অভিযোগে কারখানা সিলগালা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজাপুরে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
রাজাপুরে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কলাপাড়ায় স্কুলভিত্তিক আবহাওয়া ক্লাবের উদ্বোধন
কলাপাড়ায় স্কুলভিত্তিক আবহাওয়া ক্লাবের উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ
জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি
গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক
রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু
সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা
পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?
রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস

নগর জীবন

ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা

নগর জীবন

সালাউদ্দিন টুকুর ছাতা উপহার
সালাউদ্দিন টুকুর ছাতা উপহার

দেশগ্রাম

ইকোনমিক জোন হবে আশাশুনি
ইকোনমিক জোন হবে আশাশুনি

দেশগ্রাম

নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক
নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক

নগর জীবন

নূরুল কবীর সম্পাদক পরিষদ সভাপতি
নূরুল কবীর সম্পাদক পরিষদ সভাপতি

নগর জীবন

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন