শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ আপডেট:

ইতিহাসের মুখোমুখি আমির হোসেন আমু

গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রেফতারের সময় মানিক মিয়া বললেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুজিববাহিনীর অন্যতম নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আমির হোসেন আমু বলেছেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘ইসলাম, মুসলমান, জিন্নাহ, পাকিস্তান’ অনুভূতিতে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্রকে যে মেনে নিতে পারেননি এবং কীভাবে তিনি শুরু থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে স্বাধিকার স্বাধীনতার পথে গোটা জাতিকে তার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তার ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, সেই ইতিহাস আগের পর্বগুলোয় বলেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই শুধু ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার নির্দেশিত পথে লড়াই সংগ্রামকে বেগবান করেনি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে এবং তার নির্দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকে যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি উন্মোচিত হয় ১৯৬২ সালে যখন তিনি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় উপহাইকমিশনার শশাঙ্ক ব্যানার্জির সঙ্গে মধ্যরাতে ইত্তেফাক অফিসে বসে তার অগ্রজ ও সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী পি ত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে লেখা চিঠি হস্তান্তর করেন এবং তার স্বাধীনতার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের পর নেহেরু তখন আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাননি। তাই সময় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নে আপসহীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় ক্ষেপণ করতে রাজি হলেন না। তিনি গোপনে আগরতলা গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নেহেরুর কাছে পাঠিয়েছিলেন। নেহেরু তাকে অপেক্ষার বার্তা দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আগরতলায় আটকও হয়েছিলেন। সেই খবর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা জেনেও যায়। তিনি ফিরে আসার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর রাজপথের ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে নিউক্লিয়াস তত্ত্ব হাজির করে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখার দাবি করছেন, তারা ইতিহাসকেই বিকৃত করছেন না, নিজেদের ইতিহাসের মুখোমুখি উপহাসের পাত্রে পরিণত করে পাগলের প্রলাপ বকছেন। রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত ইতিহাসের অংশকে আবারও আমির হোসেন আমু ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, এ ধরনের আমিত্বের অন্ধকারে বসে কল্পিত রচনার সঙ্গে ইতিহাসের কোনো যোগসূত্র নেই। সিরাজুল আলম খান যখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকই হননি, তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর দেখা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে তার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন।

এমনকি সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি, ’৭১-এর ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত দেশের বামপন্থি ও বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেননি বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চেয়ে মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না। এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারের বিপরীতে কথা বলতেও লজ্জা লাগে। এক অর্বাচীন বালকের মনগড়া আষাঢ়ে গল্প নিয়ে কথা বলতে রুচিতে বাধে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণার পর অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ যেমন সমর্থন দিয়েছে তেমনি ’৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ব্যালট বিপ্লবে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতাই হননি, বাঙালি জাতির সাংবিধানিক ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হন। বঙ্গবন্ধুই তখন একক নেতা, আর তার নির্দেশে সব আন্দোলন সংগ্রামই হয়নি, গোটা জাতি হয়েছে ঐক্যবদ্ধ।

অগ্নিঝরা উত্তাল মার্চে ছাত্র ইউনিয়নও স্বাধীনতার পথে হাঁটা শুরু করে। দেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাও রাজপথে নেমে আসেন। যদি তারা না-ই আসতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন কী করে? এ প্রশ্ন তুলে আমু বলেন, বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ-দেশীয় আলবদরদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যেমন হত্যা করত না, তেমনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকরা কাজ করতেন না। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহানায়ক যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে সব শ্রেণি-পেশার এমনকি সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশ-বিডিআরেও বঙ্গবন্ধুরই ছিল যোগাযোগ। জেনারেল ওসমানী কোনো নিউক্লিয়াস বা কোনো খানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দেননি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এমএনএ নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যা জানতেন তা সবাই জানতেন না। তিনি যাদের যতটুকু জানাতেন, তারা ততটুকুই তার পরিকল্পনা জানতেন। আর স্বাধীনতার লক্ষ্যে তার নির্দেশিত পথে যেখানে যে অবস্থান থেকে যারাই কাজ করতেন, বঙ্গবন্ধু তাদের উৎসাহ দিতেন। ইত্তেফাকের ভূমিকা নিয়েও সিরাজুল আলম খান চরম মিথ্যাচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার পরিকল্পনা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যেমন জানতেন তেমনি তার লেখায় যেমন বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যকে তুলে ধরতেন তেমনি শেখ মুজিবও তার কর্মসূচি এবং আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপক প্রচার দিতেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬২ সালে আগরতলা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবন থেকেই তৎকালীন পূর্ব বাংলা পুলিশের প্রধান মহিউদ্দীন আহমেদকে টেলিফোন করলেন। পুলিশপ্রধান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর মামা ছিলেন। বললেন, ‘মামা আমি এখন বাসায় আছি।’ পুলিশপ্রধান তার বাসভবনে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করলেন। পুলিশ আগে থেকেই তাকে খুঁজছিল। অমিতসাহসী এবং কারাগার ও ফাঁসির মঞ্চকে তোয়াক্কা না করা শেখ মুজিব আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। পলাতক জীবন তিনি কখনই নেননি। একই সঙ্গে তার আগে ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে পুুলিশ গ্রেফতার করে। মানিক মিয়াকে যখন গ্রেফতার করতে পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ তার বাসভবনে যায়, তখন তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করতে এসেছ? শেখ মজিবর স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করছে, আমি তথ্যমন্ত্রী হচ্ছি।’ কারাগারে মানিক মিয়া বসে রাজকীয় স্টাইলে সিগারেট টানছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য অর্জনের পথকে যারা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক বলে সাহস না থাকায় দ্বিমত পোষণ করতেন সেই আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ ও সালাম খানেরা কারাগারে হাজির হলেন। তারা কেউ কেউ মানিক মিয়াকে বলছিলেন, আগেই সতর্ক করেছিলাম, শেখ মুজিবের পথ ফাঁসিতে ঝোলার পথ। এখন ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। এর মধ্যে কারাগারে শেখ মুজিবকে নিয়ে এলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, আগের পর্বে বলেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েই নেহেরুকে বলাননি, মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের চিফ মিনিস্টার বিধান রায়কে দিয়েও বলিয়েছিলেন। এমনকি তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ত্রিলক্ষনাথ মহারাজের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। ’৭০ সালে মহারাজ প্রয়াত হলে চিত্তরঞ্জন সুতারকে সেই দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেলখাটা চিত্তরঞ্জন সুতারকে ’৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করে এনেছিলেন এবং নির্বাচনের পরই তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই চিত্তরঞ্জন সুতারের কলকাতার ঠিকানায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনামতো সবাই গিয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধু তার আগে ’৬৯ সালে লন্ডনে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিনিধি ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন। আর সিরাজুল আলম খান পাগলের মতো বলছেন, তারা তাদের স্বাধীনতার পরিকল্পনা ও নিউক্লিয়াস নিয়ে ’৬৯ সালে নাকি শেখ মুজিবকে অবহিত করেন। তারা কেমন নেতা ছিলেন, যে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামের মাঠের কর্মী হয়েও তার কোনো পরিকল্পনাই তারা জানতেন না!

আমির হোসেন আমু বলেন, ’৬৯-এ আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছিল, তাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ মুজিব জড়িত করেছিলেন। না হলে তারা আসামি হলেন কী করে? নিউক্লিয়াস তখন কোথায় ছিল? পূর্ব বাংলার অনেক পুলিশ অফিসার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাও বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সহযোগিতা করেছেন সেটিও তিনি নিজে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। সবখানে তিনি তার লোকজন প্রস্তুত করেন। ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রলীগেরটা জানতেন। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ছাড়াও সারা দেশেরটা জানতেন। কে কোথায় তার হয়ে কীভাবে কাজ করছেন, কীভাবে সহযোগিতা করছেন। শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ছিল আরএসপি নেতাদের হাতে। মূল নেতা ছিলেন আরএসপির নেপাল নাহা। বঙ্গবন্ধু তাকে পক্ষে নিয়েছিলেন। আরএসপি করা আবদুল মান্নানকে তিনি তার রাজনীতিতে যুক্ত করেছিলেন। ’৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফার হরতালে এবং তার পরে শ্রমিকদের সংগঠিত করে রাজপথে এরাই নামিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান আজগুবি সব কথা বলছেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গববন্ধু যে ছয় দফা দেবেন এবং তার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মৃত্যুর আগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও তা অবহিত ছিলেন। তার সমর্থনও ছিল। ’৬৬ সালে লাহোরে নেজামে ইসলামের প্রধান চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে সব বিরোধী দলের বৈঠক বসলে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ছয় দফা উত্থাপন করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশও যদি ছয় দফা নিতে চায় তার আপত্তি নেই। কারণ, ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান তুলে তখন জি এম সাইদের নেতৃত্বে সিন্ধরা স্বায়ত্তশাসন চাইছে। বেলুচিস্তানিরাও চায়। কিন্তু বৈঠকে ছয় দফা উত্থাপন করলে কেউ সমর্থন করলেন না। এমনকি পূর্ব বাংলা থেকে যেসব নেতা গিয়েছিলেন তারাও গ্রহণ করেননি। বঙ্গবন্ধু পরদিন লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করেন। ঢাকায় ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফার ব্যাখ্যা দেন। তিনি এটাকে ‘বাঙালির বাঁচার দাবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি আসার আগেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ছয় দফার পোস্টারে ছেয়ে যায়। এটি ঘোষণার পর আইয়ুব খান তার মৌলিক গণতন্ত্রের সম্মেলনে রমনা গ্রিনে অস্ত্রের ভাষায় কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এই ছয় দফা পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটি ও দলীয় সম্মেলনে অনুমোদন করিয়ে সারা দেশ ৩৫ দিন সফর করে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। ৩৫টি জনসভা করেন যেখানে জনতার ঢল নামে। আটবার তিনি গ্রেফতার হন। ছয় দফা প্রচার করতে গিয়ে বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে দেওয়া তার বক্তব্য মানুষের হৃদয়ই জয় করেনি, তার পক্ষে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসতে শক্তি জুগিয়েছিল। ছয় দফার পর থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালির একক নেতা হয়ে ওঠেন। আমু বলেন, ’৬৬ সালে গ্রেফতারের দুই বছর পর যেদিন তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র ঘিরে ‘শেখ মুজিব বনাম রাষ্ট্র’ মামলা দায়ের করা হলো সেদিনই আমি ও শেখ শহীদ জগন্নাথ কলেজে গিয়ে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, কাজী ফিরোজ রশীদসহ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বিশাল মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ইকবাল হলের মাঠে নিয়ে আসি। সেখানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই আন্দোলন সংগ্রামের আগুন সারা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ছয় দফাকে রেখে ডাকসুসহ ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে; যা পরবর্তীতে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ সেসব আন্দোলন সংগ্রামের সভা-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। যেহেতু ডাকসু সব ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান তাই ডাকসুকেই এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বঙ্গবন্ধু প্রথম তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ওরা ‘জিও সিন্ধ’ স্লোগান দিলে আমাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে অসুবিধা কোথায়? তিনি সব সময় বলতেন, ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওদের চলে যেতে হবে। আর রবিঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গুন গুন করে গাইতেন। জাতীয় সংগীত তিনিই চূড়ান্ত করেছিলেন। জাতীয় পতাকা তিনিই অনুমোদন দিয়েছিলেন। ১ থেকে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৭ মার্চের ভাষণ তার একক সিদ্ধান্ত থেকে হয়েছে। ৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা তার নির্দেশের বাইরে করার সাহস কারও ছিল না।

২৩ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধান প্রণীত হওয়ায় দিনটি পাকিস্তান দিবস ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিরোধ দিবস ডাকা হলো। পাকিস্তান থেকে আগত ৪০ জনের মতো জনপ্রতিনিধি সেদিনের দৃশ্য দেখে বলেন, ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের চিহ্ন নেই। পাকিস্তানের সব চিহ্ন মুছে গেছে। সেদিন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয় তার হাতে। শ্রমিক লীগের আবদুল মান্নানও দেন। বঙ্গবন্ধু পতাকা নেড়ে হাজার হাজার মানুষের মিছিলে ছুটে আসা জনতার অভিবাদনের জবাব দেন। তিনি ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার সময় সেদিন গাড়ির একদিকে দলীয় পতাকা অন্যদিকে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে যান। এসব নিয়েও সিরাজ মনগড়া কথা বলেছেন।

বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়ার সঙ্গে একদিকে বৈঠক রেখেছেন আরেকদিকে স্বাধীনতার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। তাই এক দিনের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করেননি। সারা দেশে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগান তুলে আনসার-পুলিশদের সহায়তায় ট্রেনিং নিয়েছে। ইয়াহিয়া খান নির্বাচন ঘোষণা না করলে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং করে আসার প্রস্তুতিও তিনি করেছিলেন। যেমন পাকিস্তানের আক্রমণ ও স্বাধীনতা ঘোষণার পর ভারত গেলে যে সহযোগিতা, আশ্রয়, অর্থ, অস্ত্র, ট্রেনিং ও যুদ্ধের সহায়তার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিলেন।

সিরাজুল আলম খান ’৭০-এর নির্বাচনে ২০০ তরুণকে নিউক্লিয়াসের পরামর্শে বঙ্গবন্ধুর মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এবং নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে তাদের তিনজন করে প্রতিনিধি কাজ করেছেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার চাইতে বড় মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এককভাবে সব আসনে নিজের হিসাব-নিকাশ থেকে নৌকার বিজয় বা তার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। (আগামীকাল শেষ পর্ব)

এই বিভাগের আরও খবর
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে
তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
সর্বশেষ খবর
মেট্রোরেলের ট্র্যাক থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার
মেট্রোরেলের ট্র্যাক থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

শতবর্ষের ১০ প্রাণঘাতী ভূমিকম্প
শতবর্ষের ১০ প্রাণঘাতী ভূমিকম্প

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাকসু নির্বাচনের ভোটার তালিকায় গরমিল
শাকসু নির্বাচনের ভোটার তালিকায় গরমিল

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাকিবের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন তাইজুল
সাকিবের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন তাইজুল

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্যোগের প্রভাব কমাতে পাহাড় ও জলাশয় রক্ষা করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
দুর্যোগের প্রভাব কমাতে পাহাড় ও জলাশয় রক্ষা করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে
ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কেশবপুরে বিরল কালোমুখো হনুমান রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘ
কেশবপুরে বিরল কালোমুখো হনুমান রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩৮ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প: সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে ৭ শ্রমিক অসুস্থ
ভূমিকম্প: সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে ৭ শ্রমিক অসুস্থ

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় অপরাধ দমনে অভিযান, গ্রেফতার ২৩
নওগাঁয় অপরাধ দমনে অভিযান, গ্রেফতার ২৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে ভূমিকম্প আতঙ্কে শতাধিক শ্রমিক আহত
টঙ্গীতে ভূমিকম্প আতঙ্কে শতাধিক শ্রমিক আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হচ্ছে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকীতে অসহায় মানুষদের নিয়ে ফল উৎসব
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকীতে অসহায় মানুষদের নিয়ে ফল উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প : কুমিল্লায় ৮০ নারী শ্রমিক হাসপাতালে
ভূমিকম্প : কুমিল্লায় ৮০ নারী শ্রমিক হাসপাতালে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে এতিম শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন বিতরণ
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে এতিম শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফলোঅন না করিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ফলোঅন না করিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘লোকজন হয়তো জিজ্ঞেস করবে, শাহরুখ খান কে’
‘লোকজন হয়তো জিজ্ঞেস করবে, শাহরুখ খান কে’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নালিতাবাড়ীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মাদকবিরোধী কর্মসূচি ও আলোচনা সভা
নালিতাবাড়ীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মাদকবিরোধী কর্মসূচি ও আলোচনা সভা

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

অগ্নিকাণ্ডে জলবায়ু সম্মেলন স্থগিত, ফের শুরু কখন?
অগ্নিকাণ্ডে জলবায়ু সম্মেলন স্থগিত, ফের শুরু কখন?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

২১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ
নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা