শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ

ময়মনসিংহের ভালুকায় হবিরবাড়ী ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের সৌদিফেরত কৃষক আবদুল মোতালেব দেশে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুরের বাগান করে এরই মধ্যে ব্যাপক সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার পথ ধরে এখন এ এলাকার অনেক বেকার যুবক সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভালুকায় আরবের খেজুর চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা স্থানীয়দের। ২০০১ সালে সৌদিফেরত আবদুল মোতালেব স্বল্পপরিসরে গড়ে তুলেছিলেন সৌদি খেজুরের বাগান। বর্তমানে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তুলেছেন বিশাল ‘মোফাজ্জল সৌদিয়ান খেজুর বাগান’। যেখানে রয়েছে সুস্বাদু আজওয়া, সুক্কারি, আমবাগ, বারহি ও বকরি জাতের প্রায় ১৫০০ ছোট-বড় খেজুর গাছ। এর মধ্যে ৮০টি গাছে ফলন হচ্ছে বছরে প্রায় দেড় থেকে দুই টন খেজুর উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকায়। পাশাপাশি প্রতিটি খেজুরের চারা বিক্রি করছেন ১ থেকে ৫ হাজার টাকা করে। আর প্রতিটি কলমের চারা বিক্রি করছেন ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে। এভাবে চারা ও খেজুর বিক্রি করে বছরে তার আয় হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। মোতালেবের এ সাফল্যে উৎসাহিত হন একই গ্রামের দুবাইফেরত যুবক মো. ইভা। ২ বিঘা জমিতে খেজুর চাষ করে তিনিও সফলতার মুখ দেখেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইভা সৌদিয়ান খেজুর বাগান’-এ প্রায় ১০টি গাছে খেজুর ধরেছে। তিনিও খেজুরের পাশাপাশি খেজুরের চারা বিক্রি করে বছরে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। মোতালেব ও ইভা সফলতার মুখ দেখায় খেজুর চাষে উৎসাহিত হয়েছেন ওই এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় নাছির উদ্দিন প্রায় ৪ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন ‘মায়ের দোয়া সৌদিয়ান খেজুর বাগান’। এসব খেজুরবাগানে কাজ করতে পারায় এবং এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায়ও খুশি স্থানীয় শ্রমিকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন জানান, ‘এ উপজেলার পাড়াগাঁওসহ আশপাশ এলাকার মাটি বেশ উর্বর,  সৌদি আরবের খেজুর চাষে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি।’

সর্বশেষ খবর