ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে শিক্ষকরা লজ্জিত। উন্নয়ন কাজের টাকায় ছাত্ররাজনীতিকরা ভাগ বসায়, এখান থেকে টাকা চায়, এটি অচিন্তনীয়। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এসব ঘটছে। ভাগাভাগিগুলো এমনভাবে হচ্ছে যে তা গণমাধ্যমে আসছে না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ‘আমাদের শিক্ষা ও আজকের ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)। স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সাজিদুল ইসলাম। ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ হবে এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই চাইবে। এখানে যারা ভাগ বসায়, এখান থেকে টাকা চায়, এটি অচিন্তনীয়। কেন তারা এসব করছে? শুধু কি শিক্ষার্থীদের দোষ? কারা তাদের ব্যবহার-অপব্যবহার করছে এটি দেখতে হবে। আমরা দেখেছি প্রশাসনে থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যোগসাজশে অপকর্ম করা হচ্ছে। এগুলোও তদন্ত হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘সততার শিক্ষা দেবেন শিক্ষকরা। এ শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি বলেই আমাদের সন্তানরা চাঁদাবাজি করছে। অভিভাবক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে এই ব্যর্থতা আমাদের। আমরা নানাভাবে সমাজকে কলুষিত করে চলেছি। এর প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ওপর।’ এ শিক্ষাবিদ বলেন, ‘শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে যে জাতি, সে জাতির তো কোনো অন্যায় করার কথা নয়, কোনো দুর্নীতি করার কথা নয়। একজন সুশিক্ষিত মানুষ কখনো মিথ্যা বলতে পারেন না। সুশিক্ষিত মানুষ দুর্নীতি করতে পারেন না। কিন্তু আমরা দেখছি, যিনি দুর্নীতি করছেন তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। কিসের উচ্চশিক্ষা? এটি তথাকথিত উচ্চশিক্ষা, তার সনদ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ কথাটিই বলে গেছেন যে সাধারণ মানুষ দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিতরা।’ সাবেক এ উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ছাত্র ভর্তি হয়েছে, তারা ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির একমাত্র নিয়ম ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া। স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, বেসরকারি শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনার সরকার। শিক্ষায় যে বৈষম্য কমেছে তাও তার অবদান। এ সময় তিনি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, শিক্ষা আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশবিশেষ।
শিরোনাম
- আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
অন্য প্রতিষ্ঠানেও ভাগাভাগি গণমাধ্যমে আসছে না : আরেফিন সিদ্দিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর