মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা

নৌকা নিয়ে আর নির্বাচন করবে না ওয়ার্কার্স পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে আর কোনো নির্বাচন করবে না ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি ঘোষণা দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনী প্রতীক ‘হাতুড়ি’ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ওয়ার্কার্স পার্টির চলমান দশম কংগ্রেসের ৩য় দিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণার কথা জানান দলটির পলিটব্যুরো সদস্য নূর আহমদ বকুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, দিপংকর সাহা দিপু প্রমুখ। আজ এই কংগ্রেস নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নূর আহমদ বকুল বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা ১৪ দলে আছি। এটা ওপরে আছে, তৃণমূলে নেই। দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন চাইলে তৃণমূলে ১৪ দল সক্রিয় করতে হবে। আমরা আরও সক্রিয় থাকার কথা বলছি। দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রাম করতে চাই। নৌকা কেন ওয়ার্কার্স পার্টি বর্জন করছে- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি পরিস্থিতিতে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেছি। রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রয়োজনে নৌকায় নির্বাচন নিয়েছিলাম। ১৪ দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার প্রয়োজনে কৌশল হিসেবে নৌকা নিয়েছি। এখন যতটুকু সম্ভব নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে ওয়ার্কার্স পার্টি। তাই আগামী দিনের সব নির্বাচন হাতুড়ি নিয়েই করব। ১৪ দলীয় জোট ছাড়া প্রসঙ্গে নূর আহমদ বকুল বলেন, কংগ্রেস থেকে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার মানে এই নয় যে, আগামীকাল ১৪ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাব। জোটের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোটভুক্ত দলগুলোর সমমর্যাদার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, নিজের পায়ে দাঁড়ান। এ জন্য একটা গণতান্ত্রিক অবস্থান লাগবে। তাই সুনির্দিষ্ট বাস্তবতায় নিজের শক্তি জোগানোর দিকে এগুবে ওয়ার্কার্স পার্টি। সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, কংগ্রেসে উত্থাপিত রাজনৈতিক প্রস্তাবে এই মুহূর্তে পার্টিকে জনগণের মধ্যে দৃঢ় ভিত্তিতে দাঁড় করানোই প্রধান করণীয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। সেই ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত করা, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার পক্ষে ভূমিকা রাখা হবে। জনগণের নিজস্ব দাবির ভিত্তিতে স্থানীয় ও জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সর্বশেষ খবর