সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে দেশবাসীকে জানাতে তাঁকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে চিঠি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে গ্রহণ করেন তার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এ সময় বিপ্লব বড়–য়া বিএনপি নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কুশলাদি বিনিময় করেন। তিনি জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আমি আপনাদের চিঠি গ্রহণ করলাম। প্রধানমন্ত্রী এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরকারি সফরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফেরার পর চিঠিটি পৌঁছে দেব।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এবং প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস উপস্থিত ছিলেন।

চিঠি পৌঁছে দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, চিঠিতে বলা আছে, অতিসম্প্রতি ভারত সফর এবং অন্য দেশে সফরকালে সে সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিগুলো সম্পাদিত হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী সে চুক্তিগুলোর বিষয় জনগণের সামনে প্রকাশ করা জরুরি। এর মধ্যে দেশের স্বার্থের হানিকর কিছু হয়েছে কি-না সেগুলো পর্যালোচনার সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। কিন্তু এ সম্পর্কে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়নি, এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছেও এই ফাইল  গেছে কি-না, এ বিষয়ে জনগণ কিছু জানে না। কিন্তু সংবিধানের ১৪৫/ক ধারায় এটা সংসদে পেশ করার এবং জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। জনগণের সমর্থিত দল হিসেবে বিএনপি এই দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। অবিলম্বে এটা সংসদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা হোক, যেন এটা পাবলিক ডিসকাশনের ব্যবস্থা হয়।

সংসদে আপনাদের প্রতিনিধি আছে, সেখানে উত্থাপন না করে এখানে কেন চিঠি দিলেন, এ প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, জাতীয় সংসদে আমাদের যারা সদস্য আছেন তারা কয়েক দফা এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেছেন, নোটিস দিয়েছেন। তাদের সে নোটিস গ্রহণ করা হয়নি। কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা উপায় না দেখে এখানে চিঠি দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি এবং তার চিকিৎসার দাবি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর কাছে চিঠি হস্তান্তরের সময় আলাপচারিতায়ও বিএনপির দুই যুগ্ম মহাসচিব এ দাবি জানাননি।

সর্বশেষ খবর