ইউজিসি অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, জীবন বাঁচানো, রোগ মুক্তির জন্য রোগীদের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এই ওষুধই যদি মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা ভেজাল হয় তাহলে রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। নকল ওষুধ ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি জরুরি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ডায়াবেটিসের নকল কীট দিয়ে রোগীর রক্ত পরীক্ষা করলে ভুল রিপোর্ট আসবে। চিকিৎসকরা তো রিপোর্ট দেখে রোগ শনাক্ত করেন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করেন। সেক্ষেত্রে ভুল রিপোর্ট এলে চিকিৎসকের চিকিৎসা রোগীর কাজে লাগবে না। উল্টো নকল ওষুধে থাকা রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ায় রোগীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কেন এ পরিস্থিতি হলো সে সস্পর্কে কারও ধারণাই থাকবে না। সুনাম নষ্ট হবে চিকিৎসকেরও। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ওষুধ যাতে রোগীদের হাতে না পৌঁছায় এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে ওষুধ প্রশাসনকে। নিয়মিত তদারকি না থাকলে ঝুঁকিতে পড়বে মানুষের জীবন।