শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

খালেদার মুক্তি দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রাজধানীতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয় মিছিলটি। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

মিছিলে অংশ নেন জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, তাঁতি দলের সদস্য সচিব হাজী মুজিবুর রহমান, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাপ মঞ্জুর,  জে এম আনিসুর রহমান, হাজী ফিরোজ কিবরিয়া, রেজাউল করিম রানা, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী প্রমুখ। এরপর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে চূড়ান্ত ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে  দেশবাসী দেখেছে চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনে ইভিএমে  ভোট ডাকাতি উৎসব। চট্টগ্রামে ডিজিটাল ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি ম্যাচ সম্পন্ন করেছে সরকার। আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং সরকারের পেটোয়া বাহিনী সব ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে নিঃশব্দে, নিভৃতে এবং নীরবে ইভিএমে ভোট ডাকাতি করেছে। তিনি বলেন, কার্যত ইভিএমে সুষ্ঠু ভোটের ন্যূনতম সুযোগ নেই। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনও চট্টগ্রামের মতো দখলের নীলনকশার প্রস্তুতি কি না তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঢাকাতেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রচারের সময় গ্রেফতার অভিযান করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এখন গ্রেফতার অভিযান চলছে। আক্রমণ ও হামলা হচ্ছে। একটা ভয়ভীতির পরিবেশ তারা সৃষ্টি করেছে। প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে সরকারি দলের প্রার্থীরা। ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। বেছে বেছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্বে থাকবে সরকারের আস্থাভাজন চিহ্নিতরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর