বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রয়োজনীয় নদী খনন অব্যাহত রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নদীর পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সারা বছর প্রয়োজনীয় নদী খনন (ড্রেজিং) অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন।

একনেক সভায় হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিংসহ মোট ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সচিব ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, একনেকে অনুমোদন পাওয়া ৯ প্রকল্পের মধ্যে আটটি নতুন এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার অর্থায়ন ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বিভিন্ন প্রকল্পে যন্ত্রপাতি কেনার পর তার ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় সংশয় প্রকাশ করেছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যন্ত্রপাতি কেনার পর তা ব্যবহার হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর একটা প্রশ্ন ছিল যে, ‘কিনছি তো ভালো, কিন্তু এটা চালাবার লোক আছে তো? অনেক সময় দেখা যায় আমরা কিনি, কিন্তু পরে ব্যবহারের লোক পাওয়া যায় না।’ এ সময় সেখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সচিবরা প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখেরজায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাব লিংক মহাসড়কসহ) চার লেনে উন্নীতকরণের সহায়ক প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এ ছাড়া মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দরে রূপান্তরের পদক্ষেপ হিসেবে জেটিতে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা অর্জনের লক্ষ্যে ৭৯৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো- রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্প, খরচ ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ প্রকল্প। খরচ হবে ৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ভান্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প, খরচ হবে ৯৫৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, ব্যয় হবে ৪৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি টাকা। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার আওতাধীন সুরমা নদীর ডান তীরে অবস্থিত দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীবাউর ও বেতুরা এলাকায় নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদের তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প, ব্যয় হবে ৩৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর