বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হুন্ডির কোনো পরিসংখ্যান থাকে না : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

হুন্ডির কোনো পরিসংখ্যান থাকে না : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, হুন্ডির তো কোনো পরিসংখ্যান থাকে না। তবে অতীতের অন্য সময়ের তুলনায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচারের কথাও শোনা যায়। সুইস ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী তার মাত্রাও কমেছে। প্রবাসীরা এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকেও অন্য দেশে হুন্ডির মাধ্যমে পাচারের পরিমাণ কমেছে। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এজন্য রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অর্থমন্ত্রী বলেন, তবে হুন্ডি হচ্ছে একটা বড় ধরনের অপরাধ। হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়। যা দেশের বিনিয়োগের অন্তরায়। হুন্ডির মাধ্যমে  দেশ থেকে যেমন অর্থ বাইরে চলে যায় তেমনি আবার বাইরে থেকেও অর্থ আসে। দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে। অনেক ক্ষেত্রে সফলও হচ্ছে। বিশেষ করে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া শুরু হওয়ায় প্রবাসীরা ব্যাপক হারে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এতে হুন্ডির মাত্রা কমে এসেছে বলে আমি মনে করি। দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে যে অর্থ পাচার হতো তার পরিমাণও কমেছে। মানুষ এখন নিজ দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে। কেননা বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের পাশাপাশি অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশি-বিদেশি উভয় ধরনের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে। ফলে সার্বিক অর্থনীতিতেও গতির সঞ্চার হচ্ছে। এর পরও যারা হুন্ডির মতো অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। হুন্ডি ব্যবসায়ীর একাধিক চক্রকে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে পারলে হুন্ডির মাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর