বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মুক্তি দাবি বোনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি মানবিক আবেদন জানিয়েপ্রণ তাঁর স্বজনরা। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে তাঁর সেজ বোন সেলিমা ইসলাম এ আবেদনের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়ার শরীর খুবই খারাপ। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। একদম কথাই বলতে পারছেন না। সরকারকে বলছি, শারীরিক অবস্থা, শ্বাসকষ্ট, বয়স বিবেচনায় নিয়ে মানবিক কারণে বেগম জিয়ার মুক্তি বা জামিন দেওয়া উচিত। আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’ বিকাল সাড়ে ৩টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তাঁর পাঁচ স্বজন। তারা হলেন বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, তার ছেলে অভীক এস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা জামান খান বিন্দু ও প্রয়াত পুত্র কোকোর শাশুড়ি মুকরেমা রেজা (ফাতিমা রেজা)। ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে আসেন তারা। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে চিকিৎসীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সাংবাদিকদের কাছে খালেদা জিয়ার সেজ বোন বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৫ মিনিটও দাঁড়াতে পারছেন না। তাঁর বাথরুম থেকে বেডের দুরত্ব খুব সামান্য। সেখানে যেতেও তাঁর ২০ মিনিট সময় লাগে। তাঁর বাঁ হাতটা সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। এখন ডান হাতটাও বেঁকে যাচ্ছে। তিনি খেতে পারছেন না। খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। জ্বর আছে গায়ে। শরীরে প্রচ- ব্যথা। এ অবস্থায় তাঁর উন্নত চিকিৎসা খুবই প্রয়োজন। তাঁর শরীর এতই খারাপ যে, এ মুহূর্তে যদি উন্নত চিকিৎসা না দেওয়া যায়, তাহলে তাঁর কী হবে তা আমরা বলতে পারছি না।’ আবেগময় কণ্ঠে বোন সেলিমা বলেন, ‘আমাদের আবেদন তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। অন্তত উন্নত চিকিৎসাটুকু করতে পারি যেনÑ এটাই আমাদের একমাত্র আবেদন।’

পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন সরকারের কাছে করা হয়েছে কিনাÑ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো আবেদন কারও কাছে করিনি। কিন্তু আমরা জাতির কাছে, দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা সবাই খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন এবং তাঁর মুক্তি যেন হয় সে চেষ্টাই করবেন।’

বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন প্রসঙ্গে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘এটা খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিঃশর্ত মুক্তি। তাঁকে তো মিথ্যা একটা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আজকে দুই বছর ধরে তিনি অন্তরিণ আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা, তিনি যে অবস্থায় এসেছিলেন এখন তো সেই অবস্থায় নেই। তিনি আগে হেঁটে চলে বেড়াতেন। এখন তো ৫ মিনিটও দাঁড়াতে পারেন না। এখানে ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন তাতে কোনো উন্নতি হচ্ছে না। সেজন্য তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’ খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর