মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
আইইডিসিআরের ব্রিফিং

চীন-সিঙ্গাপুর ফেরত মানেই আক্রান্ত নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর বলেছে, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এসব দেশ থেকে ফিরলেই তারা রোগী নয়।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিদিন অনেক যাত্রী বাংলাদেশে আসছেন। চীনের সব প্রদেশে কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেনি। চীনের যেসব অঞ্চলে মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, চীন সরকার সেসব অঞ্চলে গণ-কোয়ারেনটিন-ব্যবস্থা জারি করেছে। সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মহামারী-উপদ্রুত এলাকা থেকে কারও বাংলাদেশে আসার সুযোগ নেই। একইভাবে পুরো সিঙ্গাপুর শহর মহামারী আক্রান্ত নয়।’ চীনের উহানফেরত ৩১২ জন সুস্থ আছেন : ৩১২ জন উহানফেরত যাত্রীকে কোয়ারেনটিন-পরবর্তী আরও ১০ দিন সীমিত চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবহিত করতে আইইডিসিআরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন : সিঙ্গাপুরে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিক কভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মধ্যে একজন আইসিইউতে আছেন। কোয়ারেনটাইনে আছেন পাঁচজন বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুরে সর্বমোট ৭৫ জন কভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন। এদিকে আমাদের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চীনফেরত এক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তিনি আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেনটাইনে ছিলেন। বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়। হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীকে সদর হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পরীক্ষা সরঞ্জাম না থাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তার রক্তের স্যাম্পল ঢাকায় পাঠানো হবে।’

সর্বশেষ খবর