বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

চিন্তা সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের নিয়ে, একজন আশঙ্কাজনক

এখনো ফ্লাইট চলছে চীনের সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত বাংলাদেশির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৩৯ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। আক্রান্ত বাকি চার বাংলাদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ অবস্থায় সিঙ্গাপুরের প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চীন-সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের পৃথকভাবে স্ক্রিনিং (স্বাস্থ্য পরীক্ষা) করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিভিয়ান বালাকৃষ্ণান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশি রোগীর বিষয়ে সকালে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশি এক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৩৯ বছর বয়সী ওই রোগী শ্বাসকষ্টসহ নানারকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ১৩ দিন ধরে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। কিন্তু গতকাল থেকে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। সাড়া না দেওয়ায় সিঙ্গাপুর যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ওআইসির একটি বিশেষ বৈঠক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসুস্থ বাংলাদেশি রোগীর সুস্থতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত বাংলাদেশিদের একজন সিঙ্গাপুরের এনসিআইডিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। অন্যদের হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। তাদের সঙ্গে কাজ করতেন বা মেলামেশা করেছেন, এমন আরও পাঁচ বাংলাদেশিকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে সিঙ্গাপুর সরকার। উহান ফেরত ৩১২ জন সুস্থ আছেন : উহান ফেরত ৩১২ জন যাত্রীর কোয়ারেন্টাইনে পরবর্তী আরও ১০ দিন সীমিত চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবহিত করতে আইইডিসিআরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতি নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।

চীনে ফ্লাইট চলমান : চীনে নিয়মিত যাতায়াত করছে চারটি সংস্থার ফ্লাইট। এসব উড়োজাহাজ বাংলাদেশ থেকে ফাঁকা গেলেও চীন থেকে নিয়মিত যাত্রী আসছে। চীনের যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে আলাদাভাবে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। কারও শরীরে জ্বর থাকলে বিমানবন্দরে হেলথ কর্নারে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সুস্থ থাকলেও বাড়িতে ১৪ দিন নিজেকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখতে বলা হচ্ছে। বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, রেলস্টেশন এবং স্থলবন্দরে নিয়মিত স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬৩৩ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর