পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের অর্থ পাচারের ঘটনায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব, সম্পদ ও পাসপোর্ট জব্দে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। আহসানুল করিম বলেন, কোম্পানিটির পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব-পাসপোর্ট জব্দ, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগসহ হাই কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। এর শুনানি হয়েছে এবং আপিল বিভাগ তা খারিজ করেছেন। ফলে হাই কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশটি বহালই থাকছে। ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, আদেশ মতো খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দুটি বোর্ড মিটিং করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকও অনুমতি দিয়েছেন। এখন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে বাংলাদেশ ব্যাংক কী করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হোক সেটা তারা চায় না। এর আগে দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চ ১৯ জানুয়ারি আদেশ দেয়। আদেশে একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেয় হাই কোর্ট। এরপর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। এরপর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের আর্থিক অবস্থার বিষয়ে কোম্পানিটির স্বাধীন চেয়ারম্যান (হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত) খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তার বক্তব্যও শোনে আপিল বিভাগ। পি কে হালদার ছাড়া বাকিরা হলেনÑ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, এম এ হাশেম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাশেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী। প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শিরোনাম
- ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
- বগুড়ায় ‘রাষ্ট্র সংস্কারের নবযাত্রা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভা
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও তিনটি গ্রাম দখল রাশিয়ার
- যেসব চুক্তি করতে ভারতে আসছেন পুতিন
- খাদ্য সংকটে লাখো বাংলাদেশিসহ ৪ কোটি আমেরিকান!
- সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
- সাবেক মেয়র আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট
- দ্বিতীয় বিয়ে করলেই সাত বছরের দণ্ড, আসামে মন্ত্রিসভায় বিল পাস
- স্কুলে ভর্তি লটারিতে, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর
- নাইজেরিয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২০০
- পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র
- আশুলিয়ায় ছিনতাইকারী চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার
- গাজায় সেনা পাঠাবে না আরব আমিরাত
- বাগেরহাটে ৪ ও গাজীপুরে ৫ সংসদীয় আসনই থাকবে: হাইকোর্ট
- ইতিহাসে প্রথম: কার্বন শোষণ নয় ছাড়ছে গাছ, বিজ্ঞানীদের নতুন উদ্বেগ
- কর্মবিরতিতে কোটালীপাড়ায় ১৮৭ বিদ্যালয়ে ক্লাস হয়নি
- চট্টগ্রামে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেপ্তার
- পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদনে চীনের নতুন ইতিহাস
- ১১ কোটির অবৈধ সম্পদ : বেনজীরের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দুদকের
- মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ পরিবারের অবস্থান জানালেন মির্জা ফখরুল