বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

নিউইয়র্ক পরিস্থিতি ভয়াবহ, পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে পাঁচজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। স্থানীয় এলমাস্ট হাসপাতাল ও প্লেইনভিউ হাসপাতাল নর্থওয়েলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। মৃতদের তিনজন নারী এবং দুজন পুরুষ। করোনাভাইরাসে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করা নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিন, কুইন্স, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটনের বিভিন্ন হাসপাতালে শতাধিক বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই ট্যাক্সিচালক ডেলিভারি কাজে নিয়োজিত কর্মী ছিলেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে দুই চিকিৎসকও আছেন।

জানা যায়, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ কোনো রোগীর কাছের আত্মীয় পরিজনকেও হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। সম্পূর্ণ দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালন করছে। তবে প্রবাসীদের সূত্রে জানা যায়, এলমাস্ট হাসপাতালে ৬০ বছরের আবদুল বাতেন, ৭০ বছরের নূরজাহান বেগম ও ৪২ বছরের এক নারী এবং প্লেইনভিউ হাসপাতালে ৫৯ বছরের এটিএম সালাম ও ৩৭ বছর বয়সী আমিনা ইন্দ্রালিব তৃষা মারা যান। এর মধ্যে আবদুল বাতেনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি, তিনি ব্রুকলিনে বসবাস করতেন। মৃত ৪২ বছরের নারীর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়, তিনি এস্টোরিয়ায় বসবাস করতেন। রংপুরের এটিএম সালাম ছিলেন ওয়েস্টর বে লং ল্যান্ড এলাকায়।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান বাস করতেন এলমাস্ট এলাকায়। আগের সপ্তাহে মারা গেছেন মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই বাংলাদেশি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্কে। তাই বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটিতে একদিনে রেকর্ড ২২২ জন কভিড-১৯ এ মারা গেছেন। নোয়াখালী সমিতি জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি কেউ মারা গেলে জানাজাসহ শেষকৃত্যের যাবতীয় ব্যবস্থা করবেন তারা। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা করোনা পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের খোঁজখবর রাখছেন। সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর