বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের কোনো কাজেই এখন আর সমন্বয় নেই। সর্বক্ষেত্রে সরকার সমন্বয়হীনতায় ভুগছে। স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজকে ঋণের প্যাকেজ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই অর্থ যাবে শুধুমাত্র মালিক শ্রেণির মানুষের কাছে। খেটে খাওয়া মানুষদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অবহেলা করা হয়েছে। তবে গত শনিবার আমাদের স্টেটমেন্ট যাওয়ার পর আমরা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছি যে-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও গুরুত্ব দিয়েছেন। গতকাল বিকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকালের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাস্ট একটা- ঋণের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এতে সমাজের সবচেয়ে এফেক্টেড অতি দরিদ্র ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ মানুষগুলোর কথা রাখা হয়নি। ৭২ হাজার কোটি টাকার যে ঋণ প্যাকেজটা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সেটা গরিব মানুষ নয়, মালিক শ্রেণির মানুষের কাছেই যাবে। সেটি যাবে ব্যাংকিং সেক্টরের মাধ্যমে। আর দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। কোনো রকমের জবাবদিহিতা কিংবা স্বচ্ছতার বালাই নেই। যাদের ঋণ পাওয়া দরকার- তারা ঋণ পাচ্ছেন না। পেলেও সময়মতো তাদের এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে না। আর সরকারের এক শ্রেণির সুবিধাবাদী লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দিন আনে দিন খায় এ ধরনের মানুষের সংখ্যা দেশে সবচেয়ে বেশি। এই ইনফরমাল সেক্টরের মানুষ যারা, তাদের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এই প্যাকেজে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরিষ্কারভাবে অবহেলা করা হয়েছে- এসব গরিব মানুষকে। বড় ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং সেক্টরের মাধ্যমে প্রদানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে জবাবদিহিতা বলতে কিছুই নেই। কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে ২০ হাজার কোটি টাকার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রেও কোনো অ্যাকাউন্টিবিলিটির কথা বলেননি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে বিজিএমইএ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ঘটনা। সর্বক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বহীনতা চলছে সরকারের কর্মকাে । বানের স্রোতের মতো গার্মেন্ট শ্রমিকদের রাজধানীতে ডেকে এনে বলা হয়েছে- ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ। কেন- এ ঘোষণাটা দুই দিন আগে দেওয়া যেত না। একদিকে করোনাভাইরাস গণহারে ছড়ানোর সুযোগ করে দিলেন, অন্যদিকে এসব শ্রমিককে অমানবিকভাবে কষ্ট দেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
শিরোনাম
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
- ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
- জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
- লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র্যালি
বিএনপির অভিযোগ সমন্বয়হীনতায় ভুগছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর