সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
গবেষণায় আশাবাদ

যে কারণে প্রভাব কম বাংলাদেশে

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। গবেষকরা বলছেন, ৩০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায়  কোনো বস্তু কিংবা বাতাসে টিকে থাকতে পারে না ভাইরাসটি। ফলে বাংলাদেশের মতো উষ্ণমন্ডলীয় দেশ তুলনামূলক নিরাপদ বলেও মনে করছেন তারা। সুফল পেতে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি এসি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : অনলাইন। কভিড-১৯ বিস্তারের গতিপথ চিহ্নিত করে তা নিয়ন্ত্রণে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। বলা হচ্ছে, বেশি তাপমাত্রা আর বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকা ভাইরাসটি বিস্তারের অন্তরায়। এ গবেষণাকে আমলে নিয়ে সাধারণ মানুষকে এসি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, যেখানে তাপমাত্রা বা আর্দ্রতা বেশি সেখানে এই ভাইরাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ইফেকশন ক্যাপাসিটি কমে যেতে পারে। সিঙ্গাপুরের গবেষকরা বলছেন, ৩০ ডিগ্রির অধিক তাপমাত্রা ও বাতাসে ৮০ শতাংশের বেশি আর্দ্রতা করোনা বিস্তারের অন্তরায়। আর এ মুহূর্তে দেশের (সিঙ্গাপুর) তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি, আর্দ্রতাও ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও এ গবেষণা নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে, তবে দেশের বাস্তবতায় অযৌক্তিক মনে করছেন না বাংলাদেশের গবেষকরা। বায়ুমান গবেষক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা যে কোনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা খেয়াল করেছি অধিকাংশ নিম্ন তাপমাত্রার দেশগুলোতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরও বলছেন, শুধু জীবাণুকে বাঁচিয়ে রাখা নয়, বাতাসে ভেসে বেড়ানো সূক্ষ্ম ধূলিকণায় ভর করে থাকা জীবাণু টেনেও আনতে পারে এসি। তাই দরজা-জানালা খোলা রাখা এবং বার বার পরিচ্ছন্নতার পরামর্শ তার। ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, জীবাণুগুলো ঘরের আসবাবপত্রে লেগে থাকতে পারে। যখন তাপমাত্রা কম থাকবে তখন সেই জীবাণুগুলো ধ্বংস না হয়ে দীর্ঘক্ষণ জীবিত থাকবে। এ সময় এসি ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে বায়ু সঞ্চালন করা উচিত। তবে যেহেতু এ মহামারীর প্রধান বাহক মানুষ, তাই শারীরিক দূরত্বকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সর্বশেষ খবর