বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাঁচ দফা প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভয়াবহ করোনা সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বানসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রস্তাবনাগুলো পেশ করে বলেছেন, কোনো সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এ দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রথমত : সব রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞগণ এবং দলমত নির্বিশেষে জাতির সব অঙ্গের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গড়ে তোলা। দ্বিতীয়ত : প্রায়-যুদ্ধকালীন এক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বদলীয় টাস্কফোর্স গঠন এবং জাতীয়-আঞ্চলিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা। তৃতীয়ত : করোনা বিস্তাররোধে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা। চতুর্থত : কর্মহীন শ্রমিক, বিশেষ করে গার্মেন্টে নারী শ্রমিক, হতদরিদ্র দিনমজুর, প্রান্তিক কৃষক, প্রতিবন্ধী, ছিন্নমূল শিশুসহ অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য অবিলম্বে খাদ্য সামগ্রীর ন্যায্যমূল্যে রেশনিং চালু করা। পঞ্চমত : করোনা পরবর্তী আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘আপদকালীন অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ গঠন করা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বিবৃতিতে অন্য স্বাক্ষরকারীরা হলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের একাংশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার ভয়াবহতা ইতিমধ্যেই এক বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এই সংকট ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করছে, এ আশঙ্কা এখন সবার মনে। সরকার কর্তৃক করোনার ঝুঁকিতে পড়া ১৮ কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং ব্যাপকভিত্তিতে করোনা টেস্টিং কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তৃত করা এখন সবার আগে প্রয়োজন। কেননা, বর্তমান অবস্থায় স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, এখন এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে করোনা সংক্রমণ বিস্তার লাভ করার পরিস্থিতি আগত-প্রায়। এতে জনগণ এই মুহূর্তে এক চরম অনিশ্চয়তার ভিতর কালাতিপাত করছে। গার্মেন্ট সেক্টর খোলা এবং বন্ধ রাখার সমন্বয়হীন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত শাটডাউনের কার্যক্রমকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত করায় জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে।

সর্বশেষ খবর