জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একজনের মৃত্যু হয়েছে কোনো উপসর্গ ছাড়াই। ধারণা করা হচ্ছে তিনজনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃতরা সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা ও পাবনার বাসিন্দা। মৃতদের কেউ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। কেউ মারা গেছেন বাড়িতেই। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় অনেকেরই করোনা পজিটিভ আসছে। অনেকের আসছে নেগেটিভ। এদিকে উপসর্গ বদলাচ্ছে করোনা। ফেনীর দাগনভূঞায় গতকাল উপসর্গ ছাড়াই এক নারীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী, গলাব্যথা, জ্বর ও পাতলা পায়খানাসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নে খায়রুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৃতের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল তিনিসহ পাঁচজন চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে ফেরেন। নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গ নিয়ে মেহেদী নামের ২০ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিন দিন জ্বর-সর্দিতে ভোগার পর গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির দুই ঘণ্টার মাথায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
পাবনার বেড়ায় কোনো উপসর্গ ছাড়াই গতকাল দুুপুরে আনোয়ার হোসেন (৪৮) নামে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারী মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তি বেড়া উপজেলা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। তার বাড়ি সুজানগর উপজেলার বনকোলা গ্রামে। হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃতের সহযোগী চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি, গলাব্যথা থাকলে অন্য রোগের চিকিৎসা করাতেও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অভাবে অনেক চিকিৎসক করোনার উপসর্গ থাকা রোগীর কাছে যাচ্ছেন না। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন গাইনি, ক্যান্সার, হার্ট ও ডায়াবেটিকের রোগীরা। অনেক রোগী এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে করতেই প্রাণ হারাচ্ছেন।