শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বাজেট অধিবেশন সীমিত আকারে

রোস্টারভিত্তিতে যাবেন এমপিরা, সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে টিভি থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ হবে আগামী ১১ জুন। অধিবেশন শুরু হবে ১০ জুন। বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে সীমিত আকারে। এবার অধিবেশনে থাকবে না কোনো প্রশ্নোত্তর পর্ব। উত্থাপিত হবে না জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো নোটিস।

কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে অধিবেশন পরিচালনা ও দশনার্থী  প্রবেশে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধি-নিষেধ। এবার অধিবেশনের রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদেরও দেওয়া হচ্ছে না কোনো পাস। সংসদ সচিবালয় থেকে চিঠি পাঠিয়ে সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হয়েছে সংসদ টেলিভিশনে দেখে সংবাদ সংগ্রহের জন্য। সংসদ টেলিভিশন বাজেট অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার করবে। তবে বাজেট ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য সংসদ ভবনের বাইরে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে বিশেষ সেল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে সেন্টার পর্যন্ত যেতে পারবেন সাংবাদিকরা। সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ বিভাগ থেকে গতকাল এসব তথ্য জানানো হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের। সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের কার্যালয়সহ আইন শাখায় কথা বলে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে সংসদ সচিবালয় বন্ধ থাকায় এবার সংসদ সদস্যরা অধিবেশনের জন্য কোনো প্রশ্নোত্তর বা ৭১ বিধিতে উত্থাপনীয় কোনো নোটিস জমা দিতে পারেননি। ফলে এই অধিবেশনে  প্রশ্নোত্তর ও নোটিস উত্থাপন পর্ব থাকছে না। ফলে বিধি মোতাবেক ৩০ জুন পর্যন্ত অধিবেশন পরিচালনা করা হলেও কার্যত অধিবেশন চলবে সাত/আট কার্যদিবস মাত্র। বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাও হবে সীমিত পরিসরে। করোনার পরিস্থিতির কারণে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনটি মুলতবি রেখে রেখে পরিচালনা করা হবে। বাজেট অধিবেশনে যেহেতু রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ সচিবালয়ের কাছে ১২ দফা বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশনা  দিয়েছে। বাজেট অধিবেশন চলাকালে কোনোভাবে যেন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ  থেকেও সংসদ সচিবালয়ের কাছে আলাদা ১৩ দফা সুপারিশমালা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অধিবেশন চলাকালীন যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সংস্পর্শে আসতে পারেন তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষার  নেগেটিভ রেজাল্ট থাকতে হবে। পরীক্ষার পর থেকে তাদের  কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রতিবেদনও থাকতে হবে। নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে অধিবেশন চলাকালীন সর্বনিম্ন সংখ্যক ব্যক্তিবর্গকে অধিবেশনের কাজে নিয়োজিত করা। সীমিতসংখ্যক সংবাদকর্মীদের নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কভিড-১৯ পরীক্ষা করে করোনা আক্রান্ত নয়- নিশ্চিত হয়ে নিয়োজিত করা। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। অধিবেশন কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ব্যতীত অন্য ব্যক্তিদের সংসদ চলাকালীন সংসদে গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করা। সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত গানম্যান, সহকারী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সবাইকে সংসদ ভবনে গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করা। সংসদে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সংসদ সদস্যরা যারা সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন এলাকায় বসবাস করছেন, তাদের সংসদে গমনাগমন রহিত করা। অধিবেশনে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেন বহিরাগত বা অপ্রয়োজনীয় দর্শনার্থীর সঙ্গে মেলামেশা করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। সংসদ চলাকালীন দর্শনার্থী প্রবেশ নিরৎসাহিত করা। সংসদ সদস্যদের বহনকারী যানবাহনসমূহ নিরাপদ দূরত্বে পার্কিং নিশ্চিত করা। সংসদ সদস্যদের গাড়িচালকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কোনো সদস্য বা ব্যক্তির অসুস্থতা সংক্রান্ত তথ্য অত্র সংস্থাকে দ্রুত অবহিত করা। নিয়মিতভাবে সংসদ সচিবালয়ের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অত্র সংস্থায় প্রেরণ করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর