রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন

রাতে দিনে এলাকাবাসীর দোরগোড়ায় স্বেচ্ছাসেবীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাতে দিনে এলাকাবাসীর দোরগোড়ায় স্বেচ্ছাসেবীরা

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউনে মানুষের দ্বারে দ্বারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এভাবেই পৌঁছে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন এলাকায় করোনার ভয়কে জয় করে সতর্কতা মেনে কাজ করছেন ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবী। রাতে দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন এলাকাবাসীর দোরগোড়ায়। এর বাইরেও এলাকাবাসীর যে কোনো ধরনের সমস্যার সমাধানে প্রথম ভরসা তারাই। লকডাউনের শুরু থেকে সেবা দেওয়া সব স্বেচ্ছাসেবী সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতি শিফটে ৪০ জন করে তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ভাগ করা দায়িত্ব নিয়ে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে থাকেন তারা। জরুরি যে কোনো সমস্যায় দ্রুত তাদের সহযোগিতা মেলে। তাদের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস থাকে সবসময়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান বলেন, ‘আমরা সুই থেকে শুরু করে পান সুপারি জর্দা পর্যন্ত সরবরাহ করছি। মধ্যরাতে আইসক্রিম, শ্যাম্পুর আবদারও পূরণ করেছি। এর পরও এলাকাবাসীকে বলেছি, আপনারা ঘরেই থাকুন।’ তিনি বলেন, ‘কন্ট্রোল রুমের সামনে অটো স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরা দিনে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ বার নিজের পুরো শরীর স্যানিটাইজ করেন। তারা বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করেন। এ বিষয়গুলোর মধ্যে কোনো লুকোচুরি নেই। কারণ তাদের জীবন আগে বাঁচাতে হবে, তার পরে তারা অন্যের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। আর সব সুরক্ষাসামগ্রী সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া হয়।’ লকডাউন এলাকার বাসিন্দা তোবারক বলেন, ‘ স্বেচ্ছাসেবীরা খুবই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কাজ করেন। কোনো দরকারে ফোন দিলেই দ্রুত চলে আসেন। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনেই চলতে দেখেছি। প্রথম দিকে কাজের পরিকল্পনা নিয়ে একটু অসুবিধা হলেও এখন সবাই বিষয়টা বুঝে গেছে।’ ওই এলাকার বাসিন্দা খোকন বলেন, ‘বাইরে না গিয়ে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে সব সময়ই তাদের কাছে পাচ্ছি। কেউ অসুস্থ হলে তাদের টিম দ্রুত চলে আসতে দেখেছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা সামাজিক দূরত্ব মানছেন। মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে দেখেছি। মনে হচ্ছে তারা যথাযথভাবেই কাজটি করছেন।’ স্বেচ্ছাসেবী গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা প্রতি শিফটে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করি। প্রত্যেকেই মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার ব্যবহার করি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছি। সব সুরক্ষাসামগ্রী কাউন্সিলরের কন্ট্রোল রুম থেকেই দেওয়া এবং তদারকি করা হয়। নিজেরা সুস্থ থেকেই যেন এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করতে পারি, সেভাবেই চলছি।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর