বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঢাকায় ফেরা চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঢাকায় ফেরা চলছে

গাদাগাদি করে ফেরা চলছেই। গতকাল সদরঘাট টার্মিনাল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাসের সংকটকালেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়েছিল হাজারও মানুষ। ছুটি শেষে তারা আবার ফিরতে শুরু করেছেন। ঈদের চার দিন পর গতকালও রাজধানীর বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকায় ফেরা কর্মজীবী মানুষদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তাদের অধিকাংশের মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি। এদিকে পদ্মায় ঝড়ো বাতাসের কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় নদী পারাপারে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দুপুরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাসেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী বাসের অর্ধেক সিট ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও অধিকাংশ বাসই সব সিট ভর্তি করে এসেছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, যারা বাসে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন তারা পাশাপাশি দুই সিট দখল করেই এসেছেন। যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে রাজি হননি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের আগ মুহূর্তে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ প্রায় একসঙ্গেই ঢাকা ছাড়লেও ফেরার সময় আলাদা আলাদাভাবে ফেরেন। অনেকেই ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি যোগ করে নেন। কেউ কেউ ঈদ শেষে অফিস ধরতে ঢাকায় ফিরলেও তাদের পরিবার বাড়িতে রেখে আসেন। সে কারণে ফেরার সময় সাধারণত যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকে। সকালে সদরঘাটে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় ফেরা অধিকাংশ লঞ্চেই ছিল কর্মজীবী মানুষের ভিড়।

লঞ্চের ডেক থেকে শুরু করে কেবিন এমনকি কেবিনের সামনের গলিপথেও মানুষের চাপ দেখা গেছে। টার্মিনালের প্রতিটি পন্টুনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কোনো নমুনা দেখা যায়নি। বরিশাল থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ হওয়ায় বরাবরের মতো নৌপথে যাত্রীদের ভিড় বেশি। এ কারণে গাদাগাদি করে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশে ছুটছেন দক্ষিণের হাজার হাজার যাত্রী। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার সব ব্যবস্থা লঞ্চে থাকলেও যাত্রীরা তাদের কথা শুনছে না। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীবাহী লঞ্চে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা। গতকালও বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ১১টি যাত্রীবাহী নৌযান। আজ, আগামীকাল এবং আগামী শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ঢাকামুখী যাত্রীদের স্রোত। শুক্রবার ঢাকাগামী লঞ্চে সর্বাধিক ভিড় হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর