বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা টেস্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নার্সিং হোমেও অভিযোগ

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের মতোই করোনায় জর্জরিত আমেরিকানদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কটি নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্টের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব নার্সিং হোম রোগীদের চিকিৎসা না করেই ভুয়া বিল তৈরির মাধ্যমে ফেডারেল তহবিল হজম করেছিল, সেসব প্রতিষ্ঠানকে করোনা মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিপুল পরিমাণের অর্থ প্রদান করা হয়। এসব তহবিল যথাযথভাবে ব্যয়ের কোনো তথ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে নেই। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চিকিৎসা না করেই বহু মানুষকে চিকিৎসার নামে জাল কাগজ তৈরি করে হাজার কোটি টাকার মেডিকেয়ার বিল সরকারের কাছে থেকে নিয়েছিল এক ডজনেরও অধিক নার্সিং হোম। কয়েক বছর আগে এ ধরনের অপকর্মের মামলাগুলো বিচার বিভাগের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। তখনকার সমঝোতা অনুযায়ী, ওইসব চিহ্নিত নার্সিং হোমের সব কার্যক্রমের ওপর পাঁচ বছরব্যাপী অডিট, কর্মচারীদের ন্যায়নিষ্ঠ করার ট্রেনিং দেওয়া, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করার কথা উল্লেখ ছিল। এসব তথ্য হেল্্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসের নথিতেও রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন অপকর্মে লিপ্তরা কীভাবে করোনা-রিলিফ তহবিল বিতরণ এবং সেই তহবিলের মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছে- তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেনেসির ফেডারেল কোর্টে এখনো একটি নার্সিং হোম প্রভাইডারের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কোনো প্রয়োজন ছাড়াই বয়স্ক রোগীকে থেরাপি সার্ভিস দিয়েছে এবং অতিরিক্ত বিল আদায়ের উদ্দেশ্যে রোগীদের দীর্ঘদিন নার্সিং হোমে রেখেছে। অভিযুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘সাভা সিনিয়র কেয়ার’।

তারা করোনা মহামারীর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ৬৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট উল্লেখ করেছে। এভাবে আগে চিকিৎসাসেবার নামে যারা কয়েক শ মিলিয়ন ডলার চুরির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিল, তারা পুনরায় কীভাবে করোনা রিলিফ-ফান্ডের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পেল- এ প্রশ্ন উঠেছে সচেতন জনগোষ্ঠীর মধ্যে। আর এই সংবাদ পড়ে সবাই বাংলাদেশের রিজেন্ট হাসপাতালের মো. সাহেদসহ আরও কটি হাসপাতালে করোনা-চিকিৎসার নামে প্রতারণার প্রসঙ্গ টানছেন। অর্থাৎ একই ধারায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুষ্ট লোকেরা করোনা মহামারীকে পুঁজি করে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ পেতেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর