আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্প্রতি উপনির্বাচনগুলোয় ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য বিএনপির অপকৌশল কাজ করেছে। রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে না আসেন সেজন্য তারা ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে ভোট বর্জনের নাটক করে, সরে দাঁড়ায়। ভরাডুবি বুঝতে পেরে নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ভোট বর্জনের এ অপকৌশল নেয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার অপকৌশল জনগণ ধরে ফেলেছে। এজন্য এজেন্ট দেওয়ার লোকও এখন তারা খুঁজে পায় না। উল্টো দোষ চাপায় এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির ভোটারদের আস্থাহীনতার প্রমাণ, তাদের দেওয়া তালিকাভুক্ত এজেন্টরা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে আসেন না। মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ করে রাখেন। এসব জেনেও তারা মিথ্যাচার করে সরকারের বিরুদ্ধে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এবং নির্বাচনব্যবস্থার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি উপনির্বাচনগুলোও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপনির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের বিষয় নেই, তাই জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোটার উপস্থিতি ঘটে না। অনেকে করোনার কারণেও আসেন না। এ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত সক্রিয় থেকে দু-একটি ঘটনা ঘটিয়ে ভোটের দিন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রিয়তা দেখায়। এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যে তাদের ভোটারও আসেন না।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা আপত্তি থাকলে তা ট্রাইব্যুনালে জানাতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অভিযোগ থাকলে নেতা-কর্মীরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিতে পারেন। টাইব্যুনাল অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে নিষ্পত্তি করবে।

তিনি বলেন, ‘দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ঘোষিত কমিটি বিষয়ে যে কোনো অভিযোগ-আপত্তি থাকলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আইনি কাঠামোর মধ্যে সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন।

জেলা ও মহানগর কমিটি অচিরেই ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন কমিটি যাচাই-বাছাই চলছে।