শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন ২৬ মার্চ

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ভারতের দুটি রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পেতে চলেছে বলেই দুই রাজ্যের রাজ্যপালরা সফররত হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানকে এই প্রস্তাব দেন। এদিকে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ট্রেন চালু হলে ঢাকা থেকে যাত্রীরা সহজেই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সফর করতে পারবেন।

দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইমরান গত মঙ্গল ও বুধবার আসামের রাজ্যপাল জগদীশ মুখি এবং মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেসটন টিনসং তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আসামের রাজ্যপাল বলেছেন, বর্তমানে যে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা রয়েছে তার আরও সম্প্রসারণ হওয়া উচিত যাতে স্থলবন্দর দিয়ে সর্বাধিক আমদানি ও রপ্তানি হতে পারে। তিনি প্রস্তাব দেন যেহেতু বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হতে চলেছে, তাই ভারত-শ্রীলঙ্কা ধাঁচে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বর্তমানে সাফটার অধীনে বাংলাদেশ ভারতে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ পায়। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া নিয়ে আলোচনা করছে। চুক্তি চূড়ান্ত করতে দুই দেশের বাণিজ্য সচিবরা শিগগিরই ঢাকায় মিলিত হবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদির ঢাকা সফরের সময় চুক্তি স্বাক্ষর হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির যে সম্ভাব্য তালিকা রয়েছে তার পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। হাইকমিশনার জানিয়েছেন এ বিষয়ে তিনি আলোচনা করবেন। নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শনের লক্ষ্যে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য সফর করছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। এর ধারাবাহিকতায় মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেসটন টিনসং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় হাইকমিশনার দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বৈঠকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেঘালয়-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নতুন সীমান্ত হাট এবং স্থল শুল্ক স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব করেন। বৈঠকে গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও বাংলাদেশ হাইকমিশন নয়াদিল্লির প্রথম সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর