স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ যা হারাবে তার চেয়ে বহুগুণ বেশি সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে বলে তিনি মনে করেন। অর্থমন্ত্রী গতকাল তাঁর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা একসময় স্বল্পোন্নত দেশ ছিলাম। এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে চলে এসেছি। এতে জাতি হিসেবে আমরা গৌরবান্বিত। প্রধানমন্ত্রীর মতো আমিও মনে করি, এই অর্জনে দেশের সব মানুষের অবদান রয়েছে।
আমাদের ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হওয়ার কথা ছিল। সরকারের অনুরোধে তা দুই বছর পেছানো হয়েছে। বাড়তি দুই বছর সময় কেন নেওয়া হলো জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক কষ্ট করে একটা দেশ গ্র্যাজুয়েশন করে। তার পরপরই যদি সে দেশের সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে কিছু সমস্যা হতে পারে। আমরা আরও এগোনোর জন্য দুই বছর সময় নিয়েছি।
এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কী কী করতে হবে তাও জানি। বলা হচ্ছে, ৪-৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি কমে যাবে। এটি কমবে না। বরং আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। আগে যেসব সমস্যা ছিল তা থাকবে না। আমাদের মতো দেশ যারা গ্র্যাজুয়েশন করেছে তারা লাভবান হয়েছে। আমাদের এখানে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) আসে না। সবাই ভয়ে থাকত এফডিআই খুলবে কিনা। আরেকটি ব্যাপার হলো, বড় লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) যদি খুলতে হয় সেটি আমরা সরাসরি খুলতে পারি না। বড় কোনো দেশ থেকে এনডোর্স করে নিতে হয়। এই সমস্যাগুলো চলে যাবে। তাই আমরা যা হারাব তার থেকে বহু গুণ বেশি পাব। অর্থনীতি এলাকায় আমাদের শক্তি আরও বেশি বাড়বে। আমাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে।
নতুন ৩ কোটি ভ্যাকসিন আনার কথা শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্বাস্থ্য নির্ধারণ করবে কবে নাগাদ ভ্যাকসিন লাগবে কিংবা আনবে। যদি তারা ভ্যাকসিন আনে তখন অর্থায়ন করব আমরা। ভ্যাকসিনের জন্য যত অর্থই লাগুক সমস্যা হবে না। আমরা অর্থের জোগান রেখে দিয়েছি।