শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
স্মৃতিচারণায় শেখ রেহানা

ছোটবেলায় বাবা ছিলেন দস্যি বালকদের নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছোটবেলায় বাবা ছিলেন দস্যি বালকদের নেতা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা বলেছেন, টুঙ্গিপাড়ার শ্যামল পরিবেশে শেখ মুজিবের জীবন কাটে দুরন্তপনা করে। মধুমতীর ঘোলাজলে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে সাঁতার কাটা, দল বেঁধে হা-ডু-ডু, ফুটবল, ভলিবল খেলায় তিনি ছিলেন দস্যি বালকদের নেতা। তখন কে জানত এই দস্যি বালকদের নেতাই  এক দিন বিশ্বনেতা, বাঙালি জাতির পিতা হবেন? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন বুধবার উদযাপন করেছে দেশবাসী। এ উপলক্ষে রাজধানীর একটি স্কুলে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ রেহানা। শেখ মুজিবের ছোটবেলার কিছু কথা দাদা, দাদি, ফুপু, মায়ের মুখে শোনা এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে এসব স্মৃতিকথা জানতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। শৈশব থেকেই মুজিব ছিলেন অত্যন্ত তীক্ষè ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী উল্লেখ করে শেখ রেহানা বলেন, গ্রামের মাটি ও মানুষ তাঁকে যেমনটা আকর্ষণ করত, তেমনি তিনিও গ্রামের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসেছিলেন পরম মমতায়। পক্ষান্তরে তাঁকেও সবাই আপন সন্তানের মতো বিশ্বাস করত ও ভালোবসত। ১০ বছর বয়সেই নিজের গায়ের জামা খুলে অন্যকে দান করে কিশোর শেখ মুজিব মানবতার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শিশুকাল থেকেই শেখ মুজিব ছিলেন পরোপকারী ও অন্যায়ের প্রতিবাদী। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখলেই তিনি যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন, তেমনি কোনো অন্যায়-অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করতেন। একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে শেখ রেহানা বলেন, একবার তাঁর গ্রামের চাষিদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকদের অনেক বাড়িতেই দুই বেলা ভাত রান্না বন্ধ হয়ে যায়। সারা গ্রামেই প্রায় দুর্ভিক্ষ অবস্থা। কিশোর মুজিব এরকম পরিস্থিতিতে কিছু করার জন্য ছটফট করছিলেন। পরে নিজের পিতাকে তিনি তাঁদের গোলা থেকে বিপন্ন কৃষকদের মাঝে ধান বিতরণের জন্য অনুরোধ জানালেন। তাঁদের নিজেদের ধানের মজুদ কেমন, এই অনুরোধ তাঁর বাবা রাখতে পারবেন কিনা, সেসব তিনি ভাবেননি। কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখার চিন্তাটিই ছিল তখন তাঁর কাছে মুখ্য।

সর্বশেষ খবর