পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে আমরা কাউকে ঘরের বাইরে দেখতে চাই না। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও সংক্রমণ রোধে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর নিষেধাজ্ঞার লকডাউনে নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’-এর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এই পাস ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না। তবে সাংবাদিকদের এ পাস নেওয়া লাগবে না। গতকাল দুপুরে লকডাউনে পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’ অ্যাপসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, গত বছর যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি, এবারও দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ন্ত্রণ করব। তিনি বলেন, অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে হবে। গত বছর লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এবারও গত দুই দিন ধরে ঢাকা ছাড়ছেন, এগুলো ঠিক নয়। এগুলো নৈতিকভাবে খুবই অন্যায় কাজ। বিভিন্নভাবে যারা যেখানে পৌঁছেছেন, তারা সেখানেই থাকবেন। গ্রামবাসীকে বলব, লক্ষ্য রাখবেন, যদি আক্রান্ত কেউ থাকেন, তাহলে সে গ্রামের অন্যকেও আক্রান্ত করবে।
তারা সাত দিন ঘরে থাকবেন। সরকার যেভাবে বলছে, সেভাবে নির্দেশ মানবেন। এসব না মানলে সমগ্র বাংলাদেশ আইসোলেশনে নিতে হবে।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সীমিত কারণে অনেকের বের হওয়া লাগতে পারে। তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বের হতে হলে অবশ্যই দ্রুত ঘরে ফিরতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আইজিপি বলেন, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা কোনো প্রাণহানি চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় হচ্ছে ব্যক্তিগত সচেতনতা। আমাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া- এসব বিধি আমাদের মনোযোগ ও আন্তরিকতা দিয়ে মানতে হবে।’ এদিকে পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর নিষেধাজ্ঞার লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি শ্রেণিতে ‘মুভমেন্ট পাস’ দেবে পুলিশ। মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচাবাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি বা খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মৃতদেহ সৎকার, ব্যবসা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে এই ‘মুভমেন্ট পাস’। প্রথম ঘণ্টায় আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার। পরবর্তী প্রতি মিনিটে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার করে। এ ছাড়া যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু কোনো ক্যাটাগরির সঙ্গে মিল নেই, তাদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পাস দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।