সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে লাগামহীনভাবে চলছে, তার রাশ টানতে হবে। উদ্বেগজনক যে, দেশে সাধারণ নারী থেকে শুরু করে, সেলিব্রেটি, টক শোয় যেসব নারী অংশগ্রহণ করছেন, এমনকি নারী প্রধানমন্ত্রী হলেও জাত-কুল-বর্ণ নির্বিশেষে সেই নারীকে প্রচন্ড হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখনো অসম্ভব রকমের পুরুষতান্ত্রিক। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিকতার যে ভয়াবহ কুৎসিত রূপ তথা প্রচন্ড রক্ষণশীলতা এবং এখনো নারীকে পণ্য হিসেবে দেখার মানসিকতা, তা প্রকটভাবে বিরাজ করছে। বাইরের দেশগুলোয় নারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য করে অপমান করা হলেও বাংলাদেশে তা আরও কুৎসিতভাবে করা হয়। যারা নিজেদের তথাকথিত সভ্য বলে দাবি করেও এমন আচরণ করেন, এর মাধ্যমে আমাদের সভ্যতার যে প্রকট দিক তাও উঠে আসে। জিনাত হুদা বলেন, কিছুদিন আগেই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর মাকে মাথায় সিঁদুর থাকায় টার্গেট করে কতিপয় ফেসবুক ব্যবহারকারী যে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, তাতে এটি স্পষ্ট হয় যে আমরা কতটা নিচে নেমে গিয়েছি। আমাদের এটি বুঝতে হবে যে একজন মাকে কখনই সৌন্দর্য বা ধর্ম দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। যারা ফেসবুকে কথায় কথায় ধর্মের দোহাই দেন, তারা ধর্মের মূল্যবোধও মানছেন না। তিনি বলেন, আমরা এমনও দেখেছি, একজন অভিনেত্রী হাতাকাটা ব্লাউজ পরে ফেসবুকে ছবি দেওয়াতে তাকে নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে। অথচ ষাটের দশকে আমাদের মা-খালারা হাতাকাটা ব্লাউজ পরতেন। তখন তো কেউ এ বিষয়ে কটাক্ষ করেনি! আর এখন যদি কেউ বোরকা বা হিজাব পরে ফেসবুকে কোনো ছবি দেন, এর পরও তাকে নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হবে। এই নেতিবাচক মন্তব্য টার্গেট করেই করা হচ্ছে। জিনাত হুদা বলেন, এই কুৎসিত মনস্তত্ত্ব আমাদের আটকাতে হবে। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার, তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কলতলার নিশ্নশ্রেণির লোকেরা যে ভাষায় ঝগড়াঝাঁটি করে, সে ভাষা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করা হয়। এখানে শব্দ চয়ন, বাক্য গঠন আপত্তিকর পর্যায়ের। এজন্য এখানে দাঁড়ি টানতে হবে। আর এটি সরকারের উচ্চপর্যায়, তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষেই করা সম্ভব। অর্থাৎ বিষয়টিকে নজরদারির আওতায় আনতে হবে। আবার এ ধরনের মন্তব্য যারা করছেন তাদের চিহ্নিত করে কোনো না কোনোভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে সিভিল সোসাইটি, মিডিয়া, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এ বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শুধু আইন করে ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে এগুলো প্রতিরোধ সম্ভব নয়। এখানে সচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ প্রয়োজন। যারা অনলাইনে নারীদের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করছেন তাদের চিহ্নিত করে অনলাইনে এই অপরাধীদের ছবি দিয়ে এদের সঙ্গ ত্যাগ করার সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে হবে।
শিরোনাম
- হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
- ১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
- যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
- দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
- ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
- ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
- হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
- রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
- হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
- জার্মানিকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি তৎপরতায় লিপ্ত ৮০ হাজার বিদেশীর ভিসা বাতিল
- ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
- ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
- রংপুর সদর আসনে বিএনপির সামু’র নির্বাচনী প্রচারণা
- বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা
- নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
- চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
লাগামহীন সোশ্যাল মিডিয়া
অধ্যাপক জিনাত হুদা
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর