আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এনে দেওয়া স্বাধীনতাকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ দমন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাতীয় পার্টি (জেপি)-এর সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সততা, নিষ্ঠা আর দক্ষতার সঙ্গে চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশে ফিরে না এলে বঙ্গবন্ধু হত্যার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। রাশেদ খান মেনন বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতির কারণে সরকারের ইতিবাচক কর্মকান্ডের সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথচলাকে টেকসই করতে করোনা, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের ভাইরাসকে চিরতরে দমন করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ ফিরে পেয়েছে ভোট ও ভাতের অধিকার। দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
