রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী গ্রেফতার

কাসেমী চার দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হেফাজতে ইসলামের আহ্‌বায়ক কমিটির আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ইনা’আমুল হাসান ফারুকীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। শুক্রবার রাতে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া ইনা’আমুল হাসান ফারুকী হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে নাশকতার ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনাগুলোর অন্যতম আসামি ইনা’আমুল। তাকে হাটহাজারীতে নাশকতার ঘটনায় গ্রেফতার দেখানো হবে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির সফরকে ঘিরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। এ সময় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে চারজন নিহত হন।

কাসেমী চার দিনের রিমান্ডে : রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির বিলুপ্ত অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে চার দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে পল্টন থানা পুলিশ আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। সেদিন রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন হেফাজতের কর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ জানায়, বারিধারা মাদরাসা দখল নিতে ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসানকে মাদরাসায় না আসার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেছে অথচ মাওলানা নাজমুল হাসানকে নুর হোসেন কাসেমী জীবদ্দশায় ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম হিসেবে অসিয়ত করে যান। সরকার বিরোধীদের প্ল্যাটফরম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বারিধারা মাদরাসায় ক্যু করে মাদরাসা দখলে নিয়ে ভবিষ্যতে হেফাজতে ইসলাম ও সরকার বিরোধী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই মুফতি মুনীর হোসেন ও তার সহযোগীদের মূল লক্ষ্য।  মনির হোসেন কাসেমী বারিধারা মাদরাসার গরিব, অসহায় ছাত্রদের ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য এবং গুলশান, বনানী, বারিধারার ধনাঢ্য ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় করেছেন। অথচ এ টাকার সিকিভাগও মাদরাসা ছাত্রদের পেছনে ব্যয় না করে ঢাকার অভিজাতপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করে আয়েশি জীবনযাপনে ব্যয় করেছেন। তিনি অতীতেও এ ধরনের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুর মাদরাসায় চাকরিকালীন প্রায় কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

সর্বশেষ খবর