রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা-মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও ৩ নম্বর গলির একটি বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে।

পুলিশ জানিয়েছে, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। মারা যাওয়া ওই দুই নারী হলেন- ফুল বাসি চন্দ্র দাস (৩৪) এবং তার মেয়ে সুমি চন্দ্র দাস (১২)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ফুল বাসির স্বামী মোহন্দ্র চন্দ্র দাস (৩৬) ও তার বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাসকে (১৪) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। ১০ বছর ধরে এই পরিবার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস করছে বলে জানা গেছে। ঢামেক সূত্র জানিয়েছে, মোহন্দ্র চন্দ্র ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। মাঝে মাঝে তিনি ঠেলা গাড়িও চালাতেন। পুলিশের ধারণা- শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে ফুল বাসি ও মেয়ে সুমি চন্দ্র দাসকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। বড় মেয়ে ঝুমা মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে মা এবং বোনকে অচেতন অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। তখন প্রতিবেশীরা ঘরে এসে দেখেন মা-মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, একটি কক্ষেই পরিবারের সবাই থাকতেন। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ঝুমা দাস ঘুম  থেকে উঠে দেখেন, তার বাবা মেঝেতে বসে আছেন। মা এবং বোনের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে একটি রশি পাওয়া গেছে। দুজনের লাশে গলায় দাগ পাওয়া গেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা- তা এখনই বলা সম্ভব নয়। মোহন্দ্র চন্দ্র দাসও ছাড়পোকা মারার ওষুধ খেয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সুস্থ হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর