ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় কৃষকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসময় নাসিরনগরে ৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার বিকালে নাসিরনগর ও আখাউড়ায় উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সরাইলের কালিকচ্ছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), নাসিরগরের গোর্কণ গ্রামের শামসুল হুদা (৬৫), ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে জাকিয়া বেগম (০৮), আখাউড়া উপজেলার রুটি গ্রামের সেলিম শেখ (৬০), বনগজ গ্রামের জমির খাঁ (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকালে নাসিরনগরের টেকানগর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে সরাইল উপজেলার কালিচ্ছ ইউনিয়নের জোয়াদ আলীর ছেলে মৌসুমী শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে মারা যায়। এছাড়াও উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকায় ফসলি মাঠে কাজ করার সময় গোকর্ণ গ্রামের আবদুল সালামের ছেলে শামসুল হুদা নামে এক কৃষক বজ্রপাতে মারা যায়।
ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসে বিকালে উঠানে জাকিয়া বেগম চাচার সঙ্গে ধান শুকাতে মাঠে গেলে হঠাৎ বজ্রপাতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত জাকিয়া বেগম চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শেখ মুহাম্মদ আলমগীর আনছারীর মেয়ে। ভলাকুট ইউনিযনের হামিদা বেগম (৫০) ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে অজ্ঞান হয়ে যান। তার কণ্ঠনালী পুড়ে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের ধান কাটার মেশিন নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় মদন খানের ছেলে জমির খাঁ এবং রুটি গ্রামে নিজ ধানি জমিতে কাজ করার সময় সেলিম শেখমিয়া বজ্রপাতে নিহত হয়।
নিহত সেলিম শেখের ছেলে রুবেল শেখ বলেন, বাবা প্রতিদিনের মতো মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে আমরা ভাবছিলাম তিনি ঘরে ফিরবেন। কিছুক্ষণ পর জানতে পারি বজ্রপাতে বাবা মারা গেছেন। এসময় বনগজ গ্রামের মাঠে সাব্বির মিয়ার ২টি গরু বজ্রপাতে মারা গেছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম বজ্রপাতে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত