বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সোনার বার লুটে ফেনী ডিবির ছয় কর্মকর্তা রিমান্ডে

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে সোনার বার লুটের মামলায় ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের চার দিন ও অপর পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। পরে শুনানি শেষে আদালত এ নির্দেশ দেয়।

এর আগে রবিবার চট্টগ্রামের সোনা ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে তার গাড়ি থামান ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তারা। পরে ২০টি সোনার বার তার কাছ থেকে লুট করেন তারা। এ ঘটনায় গোপাল  কান্তি ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীর কাছে অভিযোগ করলে তিনি তদন্ত করে এর সত্যতা পান। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, তিন এসআই এবং দুই এএসআইকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার কর্তকর্তাদের কাছ থেকে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা হচ্ছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসআই  মো. মোতাহার হোসেন (পিপিএম), এসআই মো. মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিত বড়ুয়া এবং এএসআই মাসুদ রানা। ফেনীর কোর্ট ইন্সপেক্টর গোলাম জিলানী জানান, পুলিশ সব আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের চার দিন এবং বাকি কর্মকর্তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনির হোসেনের জিম্মায় থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমির হোসেন সুমন ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম রিমান্ড মঞ্জুরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, গোপাল কান্তি নামে এক সোনা ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রবিবার রাতে ফেনীর ফতেহপুর ওভারপাসের সামনে থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তার গতি রোধ করে। পরে তারা তার কাছ থেকে ২০টি সোনার বার ছিনিয়ে নেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর ডিবি পুলিশের সামনে হাজির করলে গোপাল কান্তি তাদের চারজনকে শনাক্ত করেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপর দুই কর্মকর্তার নাম বলেন। তাদের কাছ থেকে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার ও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সোনাগুলো বৈধ না অবৈধ তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মঙ্গলবার রাতে ডাকাতির মামলা দায়ের করেন সোনা ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস।

সর্বশেষ খবর