সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পিঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কারসাজি ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কারসাজি ছিল

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন পিঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কারসাজি ছিল উল্লেখ করে বলেছেন, কারসাজিতে গুটিকয় অসাধু ব্যক্তি জড়িত। তাদের জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। গতকাল মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন- এফবিসিসিআই আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বাজারে অরাজকতা চলছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙবে এফবিসিসিআই। ব্যবসায়ীদের জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, হাবিব উল্লাহ ডন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। এতে বাজার পরিস্থিতির ওপর আলোচনা করেন চাল ও পিঁয়াজের আমদানিকারক, আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি ও রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সমিতির ব্যবসায়ী নেতারা। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছা আছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি সভায় বলেন, পিঁয়াজের দাম কমাতে সরকার দ্রুত আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পণ্যটির দাম কমেছে। হ্রাসকৃত হারে শুল্ক পরিশোধ করা পিঁয়াজ বাজারে আসার আগে দাম কমে যাওয়া স্বাভাবিক নয়। এই ঘটনাই বলে দেয় পিঁয়াজের বাজারে অস্বাভাবিক কোনো বিষয় রয়েছে। বাজারের এমন সিন্ডিকেট ভাঙতে এফবিসিসিআই কাজ করবে। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যবসা করেন, কিন্তু মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। করোনাকালে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষের কষ্ট হয়। ব্যবসায় লাভ-লোকসানের হিসাব থাকে। তাই বলে সুযোগ পেলেই দাম বাড়াবেন- এটা হতে পারে না। এসব কারণে কতিপয় ব্যবসায়ী কিছু অর্থ পেলেও প্রকৃতপক্ষে আমাদের (ব্যবসায়ী) জন্য খুবই অসম্মানজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক কেজি চাল বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। অরাজকতা চলছে।

এটা ঠিক নয়। আগে কেজিতে ৫০ পয়সা বা ১ টাকা মুনাফা করতেন ব্যবসায়ীরা। এখন কেজিতে ৫-৬ টাকাও মুনাফা করছেন কেউ কেউ।’ তিনি উল্লেখ করেন, উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য সরবরাহে সমন্বয়হীনতা, সুষ্ঠু নীতিমালার অভাব, অপরিকল্পিত বিপণন ও পরিবহন ব্যবস্থার অভাব, সড়কে চাঁদাবাজি এবং সরকারি পর্যায়ে মনিটরিংয়ের অভাবও দাম বাড়ার কারণ। এ সময় পিঁয়াজের আড়তদার ও আমদানিকারকরা দাম বৃদ্ধি ও কমার পেছনে নানা যুক্তি দেন। পিঁয়াজ পরিবহনে চাঁদাবাজি, ভারতে বৃষ্টি এবং সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে বলেও তারা দাবি করেন। এ সময় বাড়তি বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন ব্যয়ের যুক্তি তুলে ধরেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

সর্বশেষ খবর