টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।
গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নূরসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে কয়েক দফায় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে বের করে নেওয়ার সময় ফের হামলা চালানো হয়।’
এ ঘটনার পর থেকে ভাসানীর মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে সংগঠিত হয়ে মাজার এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। এ সময় তারা কিবরিয়া ও নূরবিরোধী নানা স্লোগান দেয়। হামলার বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরওয়ার হোসেন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। একপর্যায়ে ড. রেজা কিবরিয়া ও নূরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে সংবাদ সম্মেলন করে হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। পাল্টা অভিযোগ করে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল বলেন, ‘ড. রেজা ও ভিপি নূর সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে ছাত্রলীগের চার সদস্য আহত হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ছাত্রলীগ সব সময় শান্তির প্রতীক।’
