বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

হাফ পাস বিষয়ে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দরকার

জিন্নাতুন নূর

হাফ পাস বিষয়ে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দরকার

রাশেদা কে চৌধুরী

বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকারকে বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করছি। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বাস ভাড়ায় যদি রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ না হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উভয়েই যেমন বিপদে পড়বেন, সেই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এমনিতেই সরকারের নানা হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও করোনার                কারণে আয় ও খাদ্য নিরাপত্তা অনেক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের গণপরিবহনে হাফ পাস ভাড়ার বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। তিনি বলেন, আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের হাফপাসের দাবিটি যৌক্তিক। কারণ যে শিক্ষার্থীরা এখন আন্দোলন করছে তারা নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। যারা গণপরিবহনে চড়ে তারা নিম্নমধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য। এদের জন্য যদি সরকার এগিয়ে না আসে তাহলে কারা এগিয়ে আসবে। যারা ব্যবসায়ী এবং গণপরিবহনের মালিক বা চালক তারা বাস ভাড়া বিষয়ে যে কথাগুলো বলছেন সেই কথা যুক্তিযুক্ত না। আমি মনে করি, নতুন প্রজন্মের জন্য এ ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়া উচিত। সরকার যেখানে টিসিবির পণ্য নায্যমূল্যে দিচ্ছে সেখানে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস কেন দেওয়া হবে না বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বলেন, যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমি জানতে চাই না। রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে যারা ফায়দা লোটে হামলাকারীরা তাদেরই অংশ। রাজনৈতিক দলকেই এদের প্রতিহত করতে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সরকারে থাকা লোকদের দায়িত্ব এখানে অনেক বেশি। এখানে কোন দলের কে কী করল তা আমার কাছে বিবেচ্য নয়। যারা শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়, মারপিট করে, যারা হিংসাত্মক কার্যকলাপ করে, তারা সন্ত্রাসী। সরকারকেই তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, যারা মূলধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে তাদের এমনিতেই নানা ধরনের ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। সেখানে এখন যদি তাদের বাড়তি বাস ভাড়াও মাসে গুনতে হয় তাহলে শিক্ষা থেকে মানুষ সরে আসবে। অভিভাবকরাও এক সময়ে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। আমাদের অন্যতম একটি অর্জনের জায়গা হলো, দেশের সর্বত্রই শিক্ষার চাহিদা তৈরি হয়ে গেছে। আর সেই চাহিদার সঙ্গে সরবরাহও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর