বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

টেস্টকে আনুষ্ঠানিক বিদায় মাহমুদুল্লাহর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টেস্টকে আনুষ্ঠানিক বিদায় মাহমুদুল্লাহর

হারারে টেস্টে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন কোণঠাসা বাংলাদেশ, তখনই হিমালয়সম দৃঢ়তায় ব্যাটিং করে ১৫০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহর দেড়শ রানের অসাধারণ ইনিংসটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা। এই ইনিংসটি খেলার পর সবাইকে চমকে দেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে। এরপর অবশ্য বাংলাদেশ আর টেস্ট খেলেনি। কিন্তু টি-২০ খেলছে ধারাবাহিকভাবে। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে চট্টগ্রামে। সাদা পোশাকে লাল বলের টেস্ট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের টেস্ট অবসরের ঘোষণা। মাহমুদুল্লাহ অবসরের ঘোষণা দেন জুলাইয়ে। ৫ মাস পর বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর অবসরের ঘোষণা। টেস্টে সতীর্থরা ব্যাট উঁচিয়ে অভিবাদন জানিয়েছিলে মাহমুদুল্লাহকে। কিন্তু বিসিবি সবসময়ই বিষয়টি এড়িয়ে যান। মাহমুদুল্লাহও বিষয়টি নিয়ে আর কখনো মিডিয়াতে কিছু বলেননি। শোনা যায় টি-২০ সিরিজের পর মিডল অর্ডার শক্তিশালী করতে মাহমুদুল্লাহকে টেস্ট খেলার অনুরোধ জানিয়েছিলেন নির্বাচক প্যানেল। কিন্তু টি-২০ অধিনায়ক নিজ অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েননি। তবে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলবেন বলে জানিয়েছেন। মাহমুদুল্লাহর টেস্ট অভিষেক ২০০৯ সালের ৯ জুলাই কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অভিষেক টেস্টে ব্যাট হাতে নয়, বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন। ৯৫ রানে জয়ী টেস্টের দুই ইনিংসে মাহমুদুল্লাহর রান ছিল ৯ ও ৩৭। বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে ৩টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে নেন ৫ উইকেট। ৫০ টেস্ট ক্যারিয়ারে তার রান ২৯১৪ ও উইকেট ৪৩টি। টেস্টকে বিদায় জানিয়েছে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘যে ফরম্যাটে আমি দীর্ঘদিন দলের অংশ ছিলাম, সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। আমি সব সময়ই মাথা উঁচু করে চলতে চেয়েছি। বিশ্বাস করি, এখনোই টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার সঠিক সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিসিবি সভাপতির প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। যখন টেস্ট দলে ফিরে আসি, তিনি আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। দলের সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একই সঙ্গে সব সাপোর্ট স্টাফকেও। তারা সবাই আমাকে সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন এবং আমার সামর্থ্যরে ওপর আস্থা রাখতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারাটা সব সময়ই একটা সম্মানের বিষয়। অনেক স্মৃতি জমা হয়ে আছে, যা সারা জীবন আমার মনে পড়বে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর