লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটার নিচের দিকে নেমে গেলে- সেগুলো ওপরে উঠানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কয়েক দিন ধরেই কমে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত কিংবা ওষুধ-পত্র দিয়ে মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। অতিরিক্ত রক্তও আর দেওয়া যাচ্ছে না তাঁকে, দিলে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ বেড়ে যাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের এই চলমান চিকিৎসায় তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে তাঁর স্বাস্থঝুঁকিটা ততই বেড়ে যাচ্ছে। এখন তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। গত ১৩ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান। একই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন আহমেদ তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে কয়েক দফা রক্তক্ষরণ হয়।
