শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

লঞ্চে আগুনে আরও দুই লাশ, হাসপাতালে একজনের মৃত্যু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ষষ্ঠ দিনে গতকাল বিষখালী নদী থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতদেহ দুটি শনাক্ত হয়নি।

এদিকে দগ্ধদের একজন গতকাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শাহিনূর খাতুন স্বপ্না (৪০) নামের ওই নারী মারা যান। এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা ৪৬ জন। নিখোঁজ রয়েছে অনেকেই। উদ্ধার মৃতদেহের একটি ঝালকাঠি সদর থানা ও আরেকটি রাজাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া নারীর বয়স আনুমানিক ৩৫ ও যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। নারীর পরনে ছিল গোলাপি রঙের কামিজ এবং যুবকের পরনে ছিল জিন্স ও শীতের কাপড়। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এই নারী ওই লঞ্চের যাত্রী। সুরতহালের পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, উদ্ধার যুবকের হাত এবং মুখমণ্ডল আগুনে পোড়া। তাই ধারণা করছি তিনি লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। এ নিয়ে উদ্ধার মোট মৃতদেহের সংখ্যা ৪৪ জনে দাঁড়ালো।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি টিম লিডার হুমায়ুন কবির ও ঝালকাঠি নৌ-পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, খবর পেলেই মৃতদেহ উদ্ধার করে তুলে এনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠিত হওয়া তদন্ত কমিটির প্রদান ঝালকাঠি অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আলম সকালে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির চার সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দিনভর তারা লঞ্চের ইঞ্চিন রুমসহ পুরো লঞ্চ তদন্ত করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তা লিপিবদ্ধ করেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নৌপরিবহন অধিদফতরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ পরিদর্শন করেছি। লঞ্চ দুর্ঘটনায় পর যে স্থানে ভিড়েছে সেখানে আমরা পরিদর্শন করব। আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চেষ্টা করব কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি মাস্টার  ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিকে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ জব্দ করেছে। গতকাল বিকালে লঞ্চ থেকে পুড়ে যাওয়া দুটি মোটরসাইকেল আলামত হিসেবে জব্দ করে থানায় নিয়ে যান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম।

সর্বশেষ খবর