মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি

ছয় আসামির যাবজ্জীবন, সাতজন খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কক্সবাজার প্রতিনিধি

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি

কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে গতকাল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ ও লিয়াকত। রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানান মেজর (অব.) সিনহার বোন (ডানে) -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কক্সবাজারের বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল গতকাল বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। এ ছাড়া মামলার ১৫ আসামির মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ে বিচারক বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে’ হত্যা করা হয় সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। আট আসামির সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ধূসর জ্যাকেট পরে কাঠগড়ায় থাকা প্রদীপ এবং তার পাশে থাকা লিয়াকতের মুখে এ সময় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ছয় আসামির মধ্যে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। কয়েকজন উচ্চৈঃস্বরে প্রতিবাদ জানান।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও এএসআই সাগর দেব এবং সিনহার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলার তিন সাক্ষী- পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

খালাস পাওয়া সাতজন হলেন- বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল-মামুন, এএসআই মো. লিটন মিয়া এবং এপিবিএনের এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘প্রথম থেকে আমরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছি। সেটি আজকের রায়ে দেখেছি, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তবে যে সাতজন একদম খালাস পেয়েছেন তাদের কিছুটা সাজা হলেও দেওয়া যেত। সেটি হলে প্রত্যাশা বেশি পূরণ হতো। কারণ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল।’ এক প্রশ্নের উত্তরে সিনহার বোন বলেন, ‘সেদিনই আমরা সন্তুষ্ট হব যেদিন সাজা কার্যকর হবে।’ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রদীপের আইনজীবী মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা রায়ের কপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে যাব।’ অন্যদিকে খালাস পাওয়া তিন এপিবিএন সদস্যের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘এ রায়ে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। প্রমাণিত হয়েছে এ দেশে আইনের শাসন আছে, ন্যায়বিচার আছে। এ ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।’

দ্রুত হয়েছে বিচার তদন্ত : হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস যে মামলা করেন, তার তদন্ত ও বিচার কাজ চলেছে দ্রুতগতিতে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের পর র‌্যাব তদন্তভার নিয়ে পাঁচ মাসে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর অভিযোগ গঠন করে ২৯ কার্যদিবসে শুনানি করে ১২ জানুয়ারি রায়ের দিন ঠিক করে দেন বিচারক। ৩৬ বছর বয়সী সিনহা ছিলেন রোমাঞ্চপ্রিয় এক যুবক। খুন হওয়ার দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর চাকরি ছাড়েন অন্যভাবে জীবন শুরু করার জন্য। ছোটবেলা থেকেই ছিল ভ্রমণের শখ, ‘জাস্ট গো’ নামে একটি ভ্রমণবিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গিয়েছিলেন কক্সবাজারে। তার সঙ্গে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ। সিনহার মৃত্যুর পর তাদেরও নির্যাতন ও হয়রানিতে ফেলেছিল পুলিশ। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন তার বোন। সাড়ে চার মাস পর ১৩ ডিসেম্বর র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছর ২৭ জুন সব আসামির উপস্থিতিতে বিচারক ইসমাইল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। প্রায় দুই মাস পর ২৩ আগস্ট বাদী শারমিন ফেরদৌসের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। মামলায় মোট সাক্ষী ছিলেন ৮৩ জন। তার মধ্যে নয়জন প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৬৫ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দিল আদালত।

হত্যার নেপথ্যে : করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। যিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর একদল তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ডের পর বেরিয়ে আসে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কীভাবে বন্দুকযুদ্ধ সাজিয়ে খুন করে যাচ্ছিলেন পোশাকি বাহিনীর কর্মকর্তা প্রদীপ।

মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ওসি প্রদীপ টেকনাফে যে খুন ও চাঁদাবাজি করতেন তা ফাঁস হওয়ার ভয়েই সিনহাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে যুক্তি দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদক নির্মূলের নামে টেকনাফ থানায় নিরীহ মানুষের ওপর ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের কাহিনি জেনে গিয়েছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা ও তার সঙ্গীরা। প্রদীপের অত্যাচারের শিকার কিছু মানুষের সাক্ষাৎকারও তারা নিয়েছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রদীপের সঙ্গে সিনহা এবং তার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের কথাও হয়। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে সিনহা ও তার দলকে ‘ধ্বংস করার’ সুযোগ খুঁজতে থাকেন প্রদীপ। তার পরিকল্পনাতেই চেকপোস্টে হত্যা করা হয় সিনহাকে।

সিনহা হত্যার পর প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজেদের ক্ষোভ নিয়ে এসেছিলেন প্রকাশ্যে। সেই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরল এক সংবাদ সম্মেলনে একসঙ্গে বসে রাষ্ট্রীয় দুই বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার এক মাসের মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ বদলে ফেলা হয়। সব পরিদর্শককে সরানোর পর পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়।

যেভাবে ঘটে সিনহা হত্যা : ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) চেকপোস্টে সিনহার গাড়ি থামানোর পর তিনি বের হলেই তাকে হত্যা করা হয়। অভিযোগপত্রের বর্ণনা অনুযায়ী গুলি খেয়ে কাতরাচ্ছিলেন সিনহা, পানি চেয়েছিলেন তা না দিয়ে তার বুকে লাথি মারেন পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, মুখ চেপে ধরেন মাটিতে। এরপর ওসি প্রদীপ এসে বুকে আবার লাথি মারার পর নিথর হয়ে পড়েন তরতাজা এই য্বুক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পুলিশের তিন সোর্সকে আগে থেকে সিনহার গতিবিধি দেখতে বলা হয়েছিল। ‘ডাকাত’ বলে তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনাও ছিল প্রদীপের।

কিন্তু সেই চেষ্টা সফল না হওয়ার পর সিনহা গাড়ি চালিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাওয়ার পথে শামলাপুর চেকপোস্টে তাকে আটকানো হয়। তখন গাড়িতে সিনহার সঙ্গে ছিলেন সাহেদুল ইসলাম সিফাত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সিনহার পরিচয় শোনা মাত্রই লিয়াকত চিৎকার করে গাড়ির সামনে আসেন এবং উত্তেজিত হয়ে সামনে গিয়ে ব্যারিকেড টেনে রাস্তা বন্ধ করে দেন। তখন এপিবিএন সদস্যরাও লিয়াকতকে রাস্তা আটকাতে সহায়তা করেন। ওই সময় পরিদর্শক লিয়াকত আলী খুবই উত্তেজিত ছিলেন। পুলিশের নির্দেশ পেয়ে সিনহার সঙ্গী সিফাত দুই হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নামেন। চালকের আসনে বসা সিনহা দুই হাত উঁচু করে নেমে ইংরেজিতে ‘কামডাউন, কামডাউন’ বলে লিয়াকতকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় সিনহাকে প্রথমে দুই রাউন্ড এবং কয়েক কদম এগিয়ে আরও দুই রাউন্ড গুলি করেন লিয়াকত। এর পরই মাটিতে পড়ে যান সিনহা। গুলি করার পর সিনহা ও সিফাতকে হাতকড়া পরানোর নির্দেশ দেন লিয়াকত আলী। এসআই নন্দ দুলাল গুলিবিদ্ধ সিনহাকে এ সময় হাতকড়া পরান। রশি এনে সিফাতকে বাঁধা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওসি প্রদীপকে ফোনে ঘটনা জানান পরিদর্শক লিয়াকত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, মেজর সিনহা তখনো জীবিত ও সচেতন ছিলেন। ব্যথায় গোঙাচ্ছিলেন, পানির জন্য মিনতি করছিলেন। লিয়াকত তখন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘তোকে গুলি করেছি কি পানি খাওয়ানোর জন্য!’ এরপর গুলিবিদ্ধ সিনহার বুকের বাঁ পাশে জোরে লাথি মারেন এবং পা দিয়ে মাথা চেপে ধরেন লিয়াকত। এর মধ্যে ওসি প্রদীপ একটি মাইক্রোবাস ও একটি পিকআপ ভ্যানে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আসেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এসেই লিয়াকতের সঙ্গে ‘একান্ত আলাপ’ করেন ওসি প্রদীপ। আলাপ সেরে রাস্তায় পড়ে থাকা মেজর সিনহার কাছে যান ওসি। সিনহা তখনো জীবিত, পানি চাচ্ছিলেন। এ সময় সিনহাকে গালিগালাজ করে তার বুকের বাঁ দিকে জোরে লাথি মারেন প্রদীপ। একপর্যায়ে পায়ের জুতা দিয়ে সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে ধরলে তার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আরও কিছুক্ষণ সিনহার দেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টার পর সিনহাকে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সে সময় পুলিশের সঙ্গেও বেশ কয়েকটি গাড়ি ছিল। এগুলোর কোনোটিতেই সিনহাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। গুলি করার পর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতেই তাকে হাসপাতালে নিতে সময় ক্ষেপণ করা হয়েছিল।

আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন : আলোচিত মেজর সিনহা (অব.) হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপের ফাঁসি দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার হাতে হত্যার শিকার ও নির্যাতিত ভুক্তভোগীদের পরিবার। গতকাল বেলা ১১টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ‘ওসি প্রদীপের ফাঁসি চাই’ সংবলিত ব্যানারে মানববন্ধন করেন এসব স্বজন। মানববন্ধনে প্রদীপের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা বলেন, ‘ওসি প্রদীপের ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে ছয়টি মিথ্যা মামলা করা হয়। এ ছাড়া ওসি প্রদীপ আমাকে ঢাকা থেকে আটক করে থানায় এনে চরম নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলায় প্রায় এক বছর জেল খাটতে বাধ্য করেন।’ টেকনাফ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হালিমা খাতুন আর্তনাদ করে তার ছেলে আবদুল আজিজের হত্যার বিচার চান। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আবদুল আজিজকে কোনো দোষ ছাড়া ওসি প্রদীপ হত্যা করেন। আমরা গরিব মানুষ। দিনমজুরি করে খাই। কোনো প্রকার দোষ ছাড়া আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলেকে হত্যা করেন। আমি মা হয়ে মনকে বোঝাতে পারছি না। আমার নির্দোষ ছেলেটাকে এভাবে হত্যা করল নরপিশাচ প্রদীপ। আমি তার ফাঁসি চাই।’

সর্বশেষ খবর