জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, প্রতিটা নগরের সক্ষমতার একটা সীমা আছে। ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম দূষণকবলিত একটা নগরী। অন্যতম জনবহুল শহর। ঢাকায় যে পরিমাণ মানুষ বাস করছে, তাতে আর নতুন কাউকে নেওয়ার সক্ষমতা এই শহরের নেই। এখান থেকে এখন মানুষ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া জরুরি। এ জন্য ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শখের বশে কেউ ঢাকা আসছেন না। প্রয়োজনের তাগিদে আসছেন। অনেকেই ঢাকায় না এসে কাজ মেটাতে পারলে ঢাকামুখী হতেন না। এই নগরজীবনে পয়ঃনিষ্কাশন থেকে শুরু করে সব নাগরিক সুবিধার করুণ অবস্থা। বস্তিবাসী যে ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকে, এটা আসলে জীবনযাপন হতে পারে না। এর পরও মানুষ আসছে পেটের তাগিদে। ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ইকোনমিক জোন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তাতে গতি নেই। ড. নাজনীন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বড় ইন্ডাস্ট্রি গ্রামে করা ঠিক হবে না। তবে ছোট ছোট অকৃষি খাত বা কৃষিনির্ভর সহজ শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকারের একটা অঙ্গীকার হলো শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। এটা করার পাশাপাশি যদি গ্রামের কাছাকাছি ছোট উপশহরগুলোয় কাজের সুযোগ তৈরি করা যায়, যেমন সেখানে যদি বাজারের সুযোগ-সুবিধা তৈরি ও কৃষিনির্ভর শিল্পায়ন করা যায় তাহলে কৃষকও উপকৃত হবে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। গ্রামের হাতেভাজা মুড়ি বিলুপ্তির পথে। পরিবেশদূষণকারী প্লাস্টিকের ঝুড়ির কারণে বাঁশ-বেতের ঝুড়ি বিলুপ্ত হচ্ছে। এ ধরনের ছোট কৃষিনির্ভর শিল্পগুলো ফের উৎসাহিত করা যায়। আমরা সব সময় বড় শিল্পায়নের নীতি তৈরি করি। কিন্তু একেবারে ক্ষুদ্র দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করলে মানুষের শহরমুখী প্রবণতা কমে যাবে, বিশেষ করে ঢাকায় আসবেন না। সারা দেশে পরিকল্পিত নগরায়ণ হলেই ঢাকামুখী প্রবণতা কমবে। তখন মানুষ কাছাকাছি শহরে কাজ খুঁজে নেবে। তিনি বলেন, অনেকে আবার বাচ্চাকে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াতে ঢাকায় বসবাস করছেন। ছোটখাটো ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার জন্যও ঢাকায় আসতে হয়। এটাও ঢাকার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এ জন্য ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রামে ও মফস্বলে থাকতে হবে। গ্রামে স্কুল কিন্তু আছে। আগে গ্রামের স্কুল-কলেজ থেকে পড়েই বড় বড় রাজনীতিবিদ, আমলা, ডাক্তার হয়েছেন। তখন স্কুলগুলোর মান খুব ভালো ছিল। গ্রাম বা মফস্বলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান বাড়াতে হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এগুলো হলে অনেকেই শহরে আসবে না।
শিরোনাম
- নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
- প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
- ৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
- তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
- চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
- সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
- জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
- বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
- ৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
- অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
- জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
- মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
- অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
- মুন্সীগঞ্জে ৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ
- ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
মানুষ আসছে পেটের দায়ে
ড. নাজনীন আহমেদ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর