শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নয়

বিদেশ থেকে প্রবাসীরা যে কোনো পরিমাণ অর্থ পাঠালে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। কোনো এক্সচেঞ্জ হাউস এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে যে কোনো পরিমাণ অর্থের বিপরীতে প্রণোদনাও দেওয়া হবে। অর্থাৎ পাঠানো অর্থের বিপরীতে আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পাবেন সবাই। এর আগে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বা সমপরিমাণ অর্থ পাঠাতে আয়ের নথিপত্র জমা দিতে হতো। এতে বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারতেন না বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশ থেকে অবাধে টাকা আনতে বাধা নেই।

টাকা পাঠানো নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৫ হাজার ডলার অথবা ৫ লাখ টাকার বেশি প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদানে রেমিটারের কাগজপত্র বিদেশস্থ এক্সচেঞ্জ হাউস হতে প্রেরণের বাধ্যবাধকতা আছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে রেমিট্যান্স প্রণোদনা প্রদানে রেমিটারের কাগজপত্র ছাড়াই আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে। আজ (গতকাল) থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। বিদেশে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকরা অনেকেই সেখানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। তাদের নির্ধারিত আয়ের বাইরেও অনেক আয় করেন। এত দিন এসব আয় বৈধ পথে পাঠাতে গেলে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কাছে। যারা নির্ধারিত বেতনের বাইরে কাজ করেন বা ব্যবসা করছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক আয়ের কোনো তথ্য জমা দিতে পারতেন না। ফলে এসব অর্থ অবৈধ পথে দেশে পাঠিয়ে থাকেন প্রবাসীরা। বিশেষ করে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠাতে বাধ্য হন তারা। অনেক সময় অর্থের পরিমাণ বেশি হলেও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। ফলে তারা বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে নিরুৎসাহ বোধ করেন। এই হয়রানির অভিযোগ প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের। এর বাইরে বিভিন্ন এনজিও গবেষণা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে গিয়ে আয় দেশে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও আয়ের উৎস সংক্রান্ত তথ্য দিতে হয়। যা অনেকে ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। এসব হয়রানি বন্ধ করতে সরকার এই প্রশ্নহীন অর্থ আসার পথ সুগম করেছে। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথ আরও সহজ করবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

সর্বশেষ খবর