সোমবার, ৩০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

র‌্যাবের তিন মাসের কার্যক্রম ইতিবাচক মনে করে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাবের তিন মাসের কার্যক্রম ইতিবাচক মনে করে যুক্তরাষ্ট্র

মুহাম্মদ ফারুক খান

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়েও বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই তুলে নেবে। কারণ র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় র‌্যাবের সুনাম ক্ষুণœ হতে পারে। গত তিন মাস র‌্যাবের কার্যক্রম  ইতিবাচক বলেও মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকেও ফেরত পাঠাবে বলে আমি আশাবাদী। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্যের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে। সফরের সাফল্য কী জানতে চাইলে এসব কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান।

সফরের সাফল্য কী জানতে চাইলে কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, সফর সব সময় ভালো হয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফরেন অ্যাফেয়ার কমিটি, সিনেট ও হাউস কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বাংলাদেশ নিয়ে যারা চিন্তাভাবনা করে সেই সংস্থা আইআরআইর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এতে স্থান পেয়েছে আগামীর নির্বাচন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ সার্বিক বিষয়ে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে যিনি কাজ করেন সেই (যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি রাজনৈতিক) ভিক্টোরিয়া নুল্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। র‌্যাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, র‌্যাবের জন্ম হয়েছে তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) পরামর্শে। বিএনপি আমলে যখন সারা দেশে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য, জঙ্গিবাদের উত্থান, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে, ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে সিলেটে হত্যার চেষ্টা করা হয় সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে র‌্যাব গঠিত হয়। তোমরাই (যুক্তরাষ্ট্র) দেখছ, র‌্যাব সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল করছে। সন্ত্রাসের জনপদ বাংলাদেশ এখন শান্ত। আমরা বলেছি, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে আমাদের দেশের সুনাম ক্ষুণœ করতে হবে। আমরা তাদের র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছি। আমরা বলেছি, যদি কোথাও বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সরকারকে তথ্য দাও। আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা এও বলেছি, ইতোমধ্যে অনেক অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কারও কারও মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও হয়েছে। তিনি বলেন, তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে, র‌্যাবের তিন মাসের কর্মকান্ড অনেক ভালো হয়েছে। সুনাম ফিরতে শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এ ছাড়া স্থানীয় ওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগ, ভার্জিনিয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। বাঙালি যারা ওখানে বসবাস করেন, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে তাদের বলেছি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চেয়েছি। তারা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা কাজ করছেন। ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু নিয়ে কথা বলেছি। সেখানকার স্থানীয় এমপি বলেছেন, তারাও চান ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালু হোক। কারণ তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাঙালি রয়েছেন। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতির কারণ, একটা নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এ উন্নতি হচ্ছে। আমাদের সফর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে বলে আশা করি।

সর্বশেষ খবর