শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের দাম বাড়াই না, সমন্বয় করি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুতের দাম বাড়াই না, সমন্বয় করি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘সবাই বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। আসলে বিদ্যুতের দাম আমরা কোনোবারই বাড়াই না, সমন্বয় করি। সেই সমন্বয়টা সাশ্রয়ী কি না- সেটাই আমাদের দেখতে হবে। এ বিষয়টাই আমরা আগামীতে লক্ষ্য রাখব। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামের বিষয়টি এখন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাতে। এতটুকু বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো কিছু করবেন না- যা জনগণের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।’

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত নাগরিক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করে আর্থিক ঘাটতি মোকাবিলায় বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ক্যাবের সহসভাপতি ড. শামসুল আলম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নির্ধারিত, কাদের জন্য ভর্তুকি দিতে চাই আর কতদূর রাখতে চাই। আমাদের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বিদ্যুতের মূল্য দেওয়ার সক্ষমতা নেই। তাই ভর্তুকি দেওয়া হয়, তবে আমি ভর্তুকি বলি না, বলি বিনিয়োগ। কারণ তারা এই টাকা যাতে নিজের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারেন। ছেলেমেয়েদের শিক্ষার কাজে খরচ করতে পারেন। সারে ভর্তুকি দিচ্ছি বলে কভিডকালেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আমরা। এলএনজিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা কর দিচ্ছি। এ কর না দিলেই তো হয়ে যায়। বিদ্যুতেও ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো হবে। আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। সাগরে মালট্রি ক্লেইন সার্ভে হচ্ছে, এরপর এটি সাশ্রয়ী হবে কিনা দেখা হবে। আমরা গ্যাস দিচ্ছি, চাহিদা আরও বেড়ে যাচ্ছে।’ ক্যাবের বিকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, বিতরণ ও সঞ্চালন লাইসেন্সির পুঞ্জীভূত নিট মুনাফার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এমন মুনাফা বিইআরসি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন এবং লুণ্ঠনমূলক। গ্যাসের চুরি কমানো গেলে দৈনিক ৬৩ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি কম করলেও চলে। চুরি কমানো, উৎস ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা হলে ভর্তুকি অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। বিদ্যুৎ খাতের বিকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ৭০ শতাংশ হারে চালানো গেলে নিট উৎপাদন বাড়ে ৪১২ কোটি ইউনিট।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানির ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা বাড়ানোর প্রবণতা লক্ষণীয়। এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে সংকট থেকেই যাবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হলে মানুষের মনের আগুন দাবানলে রূপ নিতে পারে। অনুষ্ঠানে আলোচনায় আরও অংশ নেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর