শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ছে না করমুক্ত আয়ের সীমা, রিটার্ন দাখিলে কড়াকড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যক্তি করদাতাদের প্রত্যাশা থাকলেও করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব নেই। আগের মতোই ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। কর আদায় বাড়াতে কিছু সরকারি সেবায় বাধ্যতামূলকভাবে রিটার্ন দাখিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল মাত্র ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরেও এই সীমা বহাল রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। নারী করদাতা, জ্যেষ্ঠ করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা, তৃতীয় লিঙ্গ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের এই সীমা আরও বেশি। সরকারের এই যুগোপযোগী করনীতির ফলে করদাতাদের মধ্যে যেমন কর পরিপালনে আগ্রহ  তৈরি হয়েছে, তেমনি দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বেড়েছে। এতে আগের মতোই বছরে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। নারী, ৬৫ বছরের  বেশি বয়সী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত এ আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়াতে ছয়টি ‘আইনি বিধান’ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক রিটার্ন দাখিল করতে হবে। সেগুলো হলো প্রভিডেন্ট ফান্ড, অনুমোদিত গ্র্যাচুইটি ফান্ড, পেনশন ফান্ড, অনুমোদিত সুপারএনুয়েশন ফান্ড এবং শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ব্যতীত অন্যান্য ফান্ডের রিটার্ন দাখিল। যেসব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ভার্সন চালু রয়েছে তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিধান প্রবর্তন। অন স্পট কর নির্ধারণের বিদ্যমান বিধানকে কেবলমাত্র গ্রোথ সেন্টারসমূহে সীমাবদ্ধ না রেখে সব পর্যায়ে এর প্রয়োগ বিস্তৃত করা। ধারাবাহিক তিন বছর বা ততধিক সময়ব্যাপী কোনো  কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিচালকদের কাছ থেকে বকেয়া অবিতর্কিত কর আদায়ের বিধান করা।

সর্বশেষ খবর